চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk:রাকেশ চক্রবর্তী, হুগলি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ১৯ দিন পর ভারত-পাক সীমান্তে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে দু’দেশ। শনিবার দুই দেশের ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১২ মে পর্যন্ত সীমান্তে কোনও ধরনের সংঘাত চলবে না। কিন্তু এই শান্তির আবহ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। চুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালায় পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি ড্রোনও দেখা গিয়েছে পাঞ্জাব ও গুজরাট সীমান্তে। যদিও ভারতের সেনাবাহিনী সতর্ক থেকে পাকিস্তানের এই সব চক্রান্ত প্রতিহত করেছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই হুগলির শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সরব হয়েছেন একটি মানবিক ইস্যুতে। তাঁর দাবি, সংঘর্ষবিরতির এই সময়টাতেই কেন্দ্রকে পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলার নিখোঁজ বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হন হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণম। তাঁর পোস্টিং ছিল পাঞ্জাবের পাঠানকোটে। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্ত টহলের সময় ভুলবশত পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ করে পাক সেনার হাতে বন্দি হন তিনি।
পূর্ণম সাউয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ ২০ দিন ধরে স্বামীর সন্ধানে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন । একাধিকবার কেন্দ্র, বিএসএফের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মেলেনি কোনও সুনির্দিষ্ট আশ্বাস। শুধু মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, সরকার এবং বিএসএফ বিষয়টি নিয়ে তৎপর। কিন্তু এতদিনেও তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনার কোনও লক্ষণ নেই। স্বামীর খোঁজে রজনী দেবী নিজে পাঠানকোট পর্যন্ত গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।
এই পরিস্থিতিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন— “কোনও ভাবনা বা পরিকল্পনার কথা আর শোনা হবে না। এবার কাজ করতে হবে।” তিনি প্রধানমন্ত্রী দফতর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উল্লেখ করে আবেদন করেছেন, এই সংঘর্ষবিরতির সুযোগেই যেন পূর্ণমকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। সাংসদের মতে, একজন ভারতীয় জওয়ান, যিনি দেশের সুরক্ষায় জীবন বাজি রেখেছেন, তাঁর খোঁজ না পাওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং উদ্বেগজনক। এখন আর অপেক্ষা নয়, কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।