চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: কোন নির্দিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা হয়ে সেখানেই আবার চাকরি করা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ( Kalyan Banerjee) । চাকরি দিতে হলে দলের অনেক কর্মী আছেন’ – কসবা ল’ কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মতামত বলে জানালেও এপ্রসঙ্গে বামদের তুলোধোনা করলেন শ্রীরামপুরের সংসদ।
[আরও পড়ুনঃ Kalyan Banerjee: “নেতাগিরিও করবো আবার চাকরিও করবো!” মনোজিৎ মডেল সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য কল্যানের]
কসবা আইন কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ ওই কলেজেরই ছাত্রনেতা ছিল। আবার সে ওই কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও চাকরি করতো। এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে শনিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নেতা যারা, তাদের সেই ইউনিভার্সিটিতে অস্থায়ী চাকরি করা উচিত না। যদি চাকরি দিতে হয় তৃণমূলের অন্য কর্মীরা আছেন তার তাদের দিক না।” এই ইস্যুতে উত্তরপাড়া কলেজের প্রসঙ্গ উঠে আসে।(Kalyan Banerjee)
[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial]
তখনই নাম ধরে ধরে সিপিএম আমলে কারা চাকরি পেয়েছিল সে কথা টানেন সংসদ। তিনি বলেন, “সিপিএমের আমলে কারা চাকরি পেয়েছে? যারা পেয়েছে তারা এখন স্থায়ী চাকরি করছে। বিজেপি তখন জন্ম হয়নি। সিপিএম সব খেয়ে চলে গেছে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ কলেজে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অভিযোগ উঠেছে, বেছে বেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা ও কর্মীদেরই নিয়োগ করা হয়েছে। ২০২২ সালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাতজন নেতা ও কর্মীকে কলেজে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের কথা স্বীকারও করেছেন কাকদ্বীপের বিধায়ক। কাকদ্বীপ কলেজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তিনি। যদিও তিনি জানিয়েছেন, সে সময় ন্যকের মূল্যায়ন চলছিল। কলেজে কর্মীর প্রয়োজন ছিল। কারণ কলেজে স্থায়ী কর্মীর অভাব রয়েছে। সে কারণে গভর্নিং বডির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকজনকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে সে সময় নিয়োগ করা হয়।( Kalyan Banerjee)