চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: দিন কয়েক পরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উতসব দুর্গোৎসব। যে উৎসবের অপেক্ষায় এক বছর ধরে থাকে আপামোর বাঙালি। অপেক্ষায় থাকেন তাঁত ব্যাবসায়ীরাও। কারণ পুজোর আগে তাঁত বোনার কিছু বাড়তি বরাত পান তারা। পুজোর তিন মাস আগে থেকেই সেই প্রস্তুতি তাদের শুরু হয়ে গেলেও, এই বছরের ছবিটা একেবারেই আলাদা। কপালে চিন্তার ভাঁজ তাঁত ব্যবসায়ীদের।
[আরও পড়ুন: Shivaji Statue: মাত্র ৮ মাস আগের মূর্তি ভাঙল কিভাবে? গ্রেফতার শিবাজি মূর্তির ভাস্কর]
বীরভূম জেলার মধ্যে অবস্থিত বসোয়া গ্রাম তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বংশপরম্পরায় তাঁত শিল্পকে পেশা করেই তাদের রুজি রুটির যোগান হয়। তাই সকাল হলেই মারগ্রাম নিচু বাজার পাড়া, খেদাপাড়া, বটতলা পাড়ার পাশাপাশি বসোয়া, বাজারপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া ষষ্ঠীতলা প্রায় সমগ্র এলাকা জুড়েই সারি সারি বাড়ি থেকেই শোনা যায় মাকুর ঠকঠক শব্দ, পাওয়া যায় রেশমের গন্ধ।
বাড়ির পুরুষদের কাজে হাত লাগিয়ে সাহায্য করেন বাড়ির মহিলারা। বীরভূমের তৈরি এই তাঁত পৌঁছে যায় বাংলাদেশেও। তবে চলতি বছর সেই ঠকঠক শব্দ প্রায় উধাও বললেই চলে। কারণ স্বরূপ জানা যাচ্ছে, এই বছর সেই ভাবে বরাত মেলেনি তাঁত ব্যবসায়ীদের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন পরিস্থিতির জন্য, সে দেশের অর্ডার পাওয়া থেকেও বঞ্চনার স্বীকার হতে হয়েছে তাঁত শিল্পীদের। আর অর্ডার মিললেও পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক তাঁরা পাচ্ছেন না। এমনটাই দাবি তাঁত শিল্পীদের।