ad
ad

Breaking News

Nabadwip government hospital

সিবিআই পরিচয়ে নবদ্বীপের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক

চিকিৎসককে সিবিআই পরিচয় দিয়ে ভিডিও কলিং করে চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক

Impersonated as CBI, the fraudster stole the money of the doctor of Nabadwip government hospital

নিজস্ব ছবি

Bangla Jago Desk,নদিয়া,মাধব দেবনাথ: নারকোটিক বিভাগ প্রচুর পরিমাণে  বেআইনি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে মালয়েশিয়ায়। আর তাতে জড়িয়ে রয়েছে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের নাম। চিকিৎসককে সিবিআই পরিচয় দিয়ে ভিডিও কলিং করে চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার নবদ্বীপ মহেশগঞ্জ গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক গোবিন্দ গোপাল বিশ্বাসের একাউন্ট থেকে। ঘটনার পর প্রতিনিয়ত ফোন আসছে আরও  টাকা দেওয়ার জন্য।

সেই টাকা দিলেই সিবিআই এর হাত থেকে নারকোটিক বিভাগের বাজেয়াপ্ত করা মামলা থেকে সুরাহা মিলবে। ঘটনার পর চিকিৎসক গোবিন্দ গোপাল বিশ্বাস কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ সহ নবদ্বীপ থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। একই সাথে পুলিশের তৎপরতায় তার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং সমস্ত রকম লিংক আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু কি ঘটেছিল এ বিষয়ে মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক গোবিন্দ গোপাল বিশ্বাস জানান, সকাল সাড়ে নটা নাগাদ তার কাছে ফোন আসে। নারকোটিক বিভাগ প্রচুর পরিমাণ নেশা জাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে। তাতে যোগ সাজস রয়েছে এই চিকিৎসকের। এ কথা শোনার পর চিকিৎসক হতভম্ব হয়ে পড়ে। তিনি এসবের সাথে জড়িত না অথচ তার নামে এত বড় অভিযোগ। আর এই অভিযোগ থেকে সুরাহা মিলবে টাকা দিলেই। শুধু তাই না অসুস্থ বাবা এবং পরিবারের থেকে তাকে গ্রেফতার করার ভয় দেখানো হয়।। শুধু তাই না তাকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, দিল্লিতে গিয়ে সিবিআই দপ্তরে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এইরকম ভাবে প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে থাকে চিকিৎসকের ওপর। আর সেই চাপ সহ্য না করতে পেরে টাকা দিয়ে মুক্তির আশায় তার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ১ লক্ষ পরে আরো ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়।

এরপর আরো টাকা দাবি করতে গেলে চিকিৎসক ভুল পিন নম্বর দেন। তখনই পেটিএম ব্লক হয়ে যায়। শুধুমাত্র সম্মানের কথা ভেবেই তিনি মস্ত বড় একটি ভুল করেছেন বলে জানান সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ।এরপর তরিঘড়ি ছুটে আসেন নবদ্বীপ থানায়। নবদ্বীপ থানার পুলিশের সহায়তায় কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানোর পর নবদ্বীপ থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম শাখা কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা। এর সাথে বড় কোন চক্র জড়িয়ে আছে কিনা তার ও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।