ad
ad

Breaking News

Gangesagar

Gangesagar: ভাঙনের কবলে গঙ্গাসাগর! কেন্দ্র সরকারকে সাহায্য করার আর্জি স্থানীয়দের

ভয়াবহ ভাঙনের কবলে অন্যতম তীর্থকেন্দ্র গঙ্গাসাগর। অমবস্যার কোটালের মাঝেই কপিল মুনির মন্দির সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়ল।

Gangesagar is one of the pilgrimage centers under severe erosion

ছবিঃ নিজস্ব

Bangla jago Desk: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে অন্যতম তীর্থকেন্দ্র গঙ্গাসাগর। অমবস্যার কোটালের মাঝেই কপিল মুনির মন্দির সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়ল। যারজন্য গঙ্গাসাগরের সমুদ্র পাড়ে দেখা দিয়েছে বড় ধস।অবিলম্বে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ না করা গেলে ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বমানের এই পর্যটনকেন্দ্রের বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক,চাইছেন সাগরের মানুষেরা।

পার ভাঙে প্রায়ই।অমবস্যার কোটালে বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়ে।কারণ সমুদ্রের জলরাশি এসে ধাক্কা মারে গঙ্গাসাগরের পারেই।ফি বছর ভাঙনের এই জ্বলন্ত সমস্যা থেকে কিছুতেই রেহাই পাচ্ছে না দক্ষিণ ২৪পরগনার জনপ্রিয়তম এই জনপদ।তীর্থ পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র গঙ্গাসাগরের মানুষ তাই উদ্বেগে জীবন কাটাচ্ছেন।পবিত্র কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন ঢালাই রাস্তায় ভাঙন ধরেছে।গঙ্গাসাগরের সমুদ্র পাড়ে দেখা দিয়েছে বড়সড় ধস।তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে এই প্রান্তিক এলাকার মানুষ।রাজ্য সরকার সাধ্যমতো বাঁধ সংস্কার করছে।বলা যায়, কপিলমুনি মন্দিরের সোজাসুজি ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর সৈকত পর্যন্ত একাধিক বার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয় হয়েছে। যারজন্য মন্দির থেকে সৈকতের দূরত্ব কমে   দাঁড়িয়ে যায় ৫০০ মিটারের কাছাকাছি। মন্দিরের সামনে ভাঙন রুখতে সেচ দফতর এর আগে গঙ্গাসাগর মেলার আগে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘টেট্রাপড প্রোজেক্ট’-এর কাজ শুরু হয়েছিল। কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই তা গ্রাস করে নেয় সমুদ্র। 

কেন্দ্র সব দেখেও দেখছে না কেন ? কেন বাংলার এই বিশ্বখ্যাত তীর্থ কেন্দ্রের  পুনর্গঠন ও ভাঙনরোধে মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করে না তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলছেন এই দ্বীপ এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের  একাংশ বলছেন,   গঙ্গাসাগর মেলার সময় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে অস্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। পুনরায় সেই নদী বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। তাই নদী সভ্যতা বাঁচানোর জন্য রাজ্যের মতোই কেন্দ্রও যুক্তরাষ্ট্রীয় ধর্ম বজায় রাখুক, আবেদন তীর্থকেন্দ্রের বাসিন্দা থেকে দেশ-বিদেশের পর্যটক,সবারই।