ছবি : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তা পূরণ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার দিন লোকসভার বাইরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমার বয়স এখন ৪৯ বছর। আগামী ৩০ বছর সংসদের ভিতরে-বাইরে লড়ব আমি। আমাকে ইডি বা সিবিআই দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। মাথা উঁচু করে ফিরব।’ সোমবার সংসদে ফিরলেন মহুয়া।
[ আরও পড়ুন – রানীগঞ্জ ডাকাতি: পুলিশের জালে দলের পঞ্চম সদস্য, আজ তোলা হবে আদালতে]
সংসদে ফিরে আসা প্রসঙ্গে সোমবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর যখন আমাকে অবৈধ ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং সংসদে আমাকে আমার বক্তব্য বলতেও দেওয়া হয়নি, তখন আমি সংসদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, মাথা উঁচু করে লোকসভায় ফিরব। আমাকে ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখিয়ে দমানো বা হারানো যাবে না। আমি এবং আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। আমরা ২৩৪ জন এখন লোকসভায় আছি। উল্টো দিকে, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যেতে তো পারেইনি, বিভিন্ন দলের সাহায্য নিয়ে নরেন্দ্র মোদি একটি পঙ্গু সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসেছেন!’
[ আরও পড়ুন – ফেলে দেওয়া ধারালো ব্লেডের টুকরো দিয়ে নারী মূর্তি বানিয়ে ‘ভারতশ্রেষ্ঠ’ নামখানার সায়ন ]
সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধায়। বলেছিলেন, ‘লাভ নেই। কয়েক মাস পরেই তো ভোট। মহুয়া তো আবার জিতবে, আবার ফিরবে!’ লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে তৃণমূল সুপ্রিমো প্রথমে বেছে নিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরকে।
[ আরও পড়ুন – Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির আশঙ্কা, কমবে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি, কি বলছে হাওয়া অফিস]
উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, সংসদে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার জন্য মহুয়া মৈত্র দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে উপহার এবং নগদ টাকা নিয়েছেন। তারপর মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটি তদন্ত করে এবং তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করে। মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারপর মাথা উঁচু করে সংসদে ফেরার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি। আবার মাথা উঁচু করে সংসদে ফিরলেন মহুয়া।