নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: অবশেষে রবিবার গভীর রাতে খাঁচাবন্দি মৈপিঠের বাঘ। বারবারই একই বাঘ জঙ্গল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছিল। রবিবার সকালে কিশোরিমোহনপুর এলাকায় বাঘ আসার খবরে নজরদারি চালানোর পর জঙ্গলের চারিদিক ঘিরে দেয় বনদপ্তরের কর্মীরা। তাতেই বাঘের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়। ঘেরা জায়গার মধ্যে পাতা হয় খাঁচা। টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছাগল।
অবশেষে রাতেই সেই খাঁচায় বন্দী হল বাঘ। সোমবার বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তারপর তাকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বাঘের হানা মৈপিঠে।
রবিবার সকালে কিশোরিমোহনপুর এলাকায় ফের দেখা গেল বাঘের পায়ের ছাপ। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদপ্তর। বাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করে জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার মত জায়গা ঘেরা হয়। তারপর খাঁচা পেতে সাফল্য পায় বনদপ্তর।
সোমবার সকালে কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। বুধবার ভোররাতে বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে। বৃহস্পতিবার সকালে ফের বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায় মৈপিঠের নগেনাবাদে। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলায় ১০ তারিখ ভোর রাতে ফের বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে। রবিবার সকালে মৈপিঠের কিশোরিমোহনপুর এলাকায় গঙ্গার ঘাটে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
এবারও আজমলমারির জঙ্গল থেকে বাঘ এসেছে লোকালয়ে বলে জানা গিয়েছে। মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে বাঘ লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসায় আতঙ্ক ছড়ায়। অবশেষে বাঘ খাঁচাবন্দী হওয়ায় স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল গভীর রাতে মাংসের টোপ দিয়ে পাতা হয় খাঁচা।
মাংসের লোভে সেই পাতা খাঁচাতে পা দিয়ে বন্দী করে ফেলে নিজেকে। সকালেই বাঘটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এমনই জানালেন বনদপ্তরের আধিকারিক নিশা গোস্বামী। তিনি আরো জানান এই পুরুষ বাঘটিকে সোমবার দুপুরে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হয়। পশ্চিম সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল, ধূলি বাসানি জঙ্গলে ছাড়া হয় বাঘটিকে।