ad
ad

Breaking News

Nadia

সীমান্তে অনুপ্রবেশ বাড়ার আশঙ্কা ওপারের অশান্তিতে আতঙ্কে এপারের মানুষ

সীমান্তে কাঁটাতার,সঙ্গীন উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রক্ষীরা। তবুও ওপার বাংলার অশান্তির জেরে আতঙ্কে রয়েছেন এপার বাংলার মানুষ। নদিয়ার গেদে সীমান্তে সেই ভয়ের পরিবেশ দেখা যায়।

Fears of increased infiltration at the border; people on the other side are in panic due to unrest on the other side

Bangla Jago Desk:  সীমান্তে কাঁটাতার,সঙ্গীন উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রক্ষীরা। তবুও ওপার বাংলার অশান্তির জেরে আতঙ্কে রয়েছেন এপার বাংলার মানুষ। নদিয়ার গেদে সীমান্তে সেই ভয়ের পরিবেশ দেখা যায়। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হন বেলঘরিয়ার এক যুবক।সেই ঘটনার পর যাঁদের শিকড়ের এখনও সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশে তাঁরা আতঙ্কিত।

[আরও পড়ুনঃ সিনেমার বিশ্বায়নের সুর বাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী,বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে জোর

বাঙালিসমাজের শিকড় দুপারেই রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসা  অনেক মানুষই রয়েছেন যাঁদের সম্পর্কের  গভীরতা লুকিয়ে রয়েছে ওপার বাংলায়। তাই বাংলাদেশে যখন সংখ্যালঘু নির্যাতন বা হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা বাড়ে তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এপারের মানুষও। কারণ কাঁটাতারের বেড়া,ভৌগলিক দূরত্বের থেকেও এইসব মানুষগুলোর কাছে বাংলাদেশ এক স্বপ্নের ভূখণ্ড। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বাঙালি অখণ্ড সত্তার জাগরণ দেখা গিয়েছিল,সেই সম্পর্কের বাঁধন ক্রমশ শক্তপোক্ত হয় পরবর্তী সময়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সহ অন্যান্য ইস্কনের সন্ন্যাসীদের গ্রেফতারির পর উদ্বেগ –উত্কন্ঠা আরও বেড়েছে।আতঙ্কিত নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।তাঁরা চান,দুপারেই শান্তি থাক।সুখে বাস করুক সবাই।

নদিয়া জেলায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার এরও বেশি রয়েছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। অধিকাংশ জায়গায় তারকাটা দিয়ে ঘেরা থাকলেও কিছু কিছু জায়গায় এখনো তারকাটা দিয়ে ঘেরা জায়গা নেই। সারা বছরই চোরাচালানকারীদের উৎপাতে আতঙ্কে থাকতে হয় সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের। এখন নদীয়ার গেদে সীমান্তের মানুষের  আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ থেকে যারা অসৎ উপায়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে তারাই বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।

[আরও পড়ুনঃ ৩০ হাজারের বেশি দামি ফোন ব্যবহার করলে অতিরিক্ত টাকা আদায়, বিতর্কে জেপ্টো

বাংলাদেশের এই ঘটনার পর সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি আরো বাড়িয়েছে বিএসএফ। শুধু নজরদারি বাড়ানোই নয়, সীমান্তবর্তী প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। কাঁটাতার লাগোয়া বসবাসকারী মানুষ আরও জানাচ্ছেন, বিএসএফ জাওয়ানরা তাদের এখন একমাত্র ভরসা, কারণ রাতের অন্ধকার হতেই  চোরা কারবারিদের উৎপাত আরও বেড়ে যায়। কখনো কখনো বাড়ির সীমানার উপর দিয়ে অবাধে যাতায়াত করে অসাধু চোরাকারবারিরা। একপ্রকার বলা যেতেই পারে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হয় ততদিন পর্যন্ত আতঙ্ক যেন পেছন ছাড়ছে না সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে।