চিত্রঃ নিজস্ব
Bangla Jago Desk: ছোট বোনকে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে মধ্যে জানিয়েছিলো বাড়ি ফিরছি তোর জন্য ঘড়ি কিনেছি, ঘড়ি দেখিয়ে জিজ্ঞেস ও করেছিলো পছন্দ হয়েছে কি না। দিদির কাছ থেকে ঘড়ি উপহার পাবে জেনে দিদির আসার পথ চেয়ে বসেছিলো। শেষে দিদির বাড়ি ফিরেছে কিন্তু ঘড়ি নিয়ে আসেনি শুক্রবার বিকালে ডায়মন্ড হারবার থানার কামালপুর এলাকায়। চেন্নাই থেকে বাড়ি এসে পৌঁছায় তাজমিরা খাতুনের কফিন বন্দী দিদির দেহ।
গত এক বছর আগে চেন্নাইয়ে পরিচারিকার কাজে গিয়েছিলো ডায়মন্ড হারবার থানার নেতড়া পঞ্চায়েত এলাকার কামালপুরের বাসিন্দা তাজমিরা খাতুন (২৩)। রবিবার চেন্নাইয়ের এক হোটেলের রুম থেকে তাজমিরা ও তার স্বামী রিজুয়ানের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর চেন্নাই পুলিশ তাজমিরার বাবাকে ফোন করে জানায় মেয়ের মৃত্যু সংবাদ এমনটাই দাবি নিহত তাজমিরার বাবা নুরহোসেন সেখ। মেয়ে মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দিশাহারা নুরহোসেন সেখ ও তার পারিবার। নুরহোসেন সেখ পেশায় রাজমিস্ত্রী কীভাবে চেন্নাই যাবে তা বুঝতে পারছিলো না। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে পাশে দাঁড়ায় ডায়মন্ড হারবার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ।
সামিম আহমেদের নির্দেশ মতো নেতাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ওদূত গাজী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা নিহত তাজমিরা খাতুনের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। সোমবার দূপুরে নিহতের বাবা নুরহোসেন ও তার ভাই রওনা দেয় চেন্নাইয়ে। এদিকে যাতে মেয়ের নিথর দেহ নিয়ে বাড়ি আসতে পারে তারজন্য সমস্ত রকমের সহযোগিতা করে ডায়মন্ড হারবার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ। শেষে শুক্রবার দূপুরে চেন্নাই থেকে মেয়ের কফিন বন্দী দেহ নিয়ে নামেন দমদম বিমানবন্দরে। ওখান থেকে শববাহী গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় নেতড়া পঞ্চায়েত প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ওদূত গাজী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। শুক্রবার বিকালে কামালপুর গ্রামে তাজমিরার কফিন বন্দী দেহ এসে পৌঁছালে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।