ad
ad

Breaking News

Nadia

Nadia : পথ বদলে আয় বেড়েছে চাষিদের, ধান-পাট ছেড়ে কাঁঠাল চাষে জোর

দাম ভাল থাকায় ভাল লাভ হচ্ছে চাষিদের।

Farmers are forced to leave rice and jute and cultivate jackfruit

Bangla Jago Desk : নদিয়া জেলার অন্যতম ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গা মাজদিয়া। এখন সেই জায়গার পরিচিতি বেড়েছে কাঁঠাল চাষের জন্য। এখানকার চাষিরা প্রথাগত চাষের বাইরে বেরিয়ে কাঁঠাল চাষে জোর দিচ্ছেন। এখন এলাকার বেশিরভাগ জমিতে দেখা যাচ্ছে কাঁঠাল গাছের বাগান। এখন প্রচুর এঁচোড় উঠেছে বাজারে। আর সেই এঁচোড় যাচ্ছে ভিন রাজ্যে। দাম ভাল থাকায় ভাল লাভ হচ্ছে চাষিদের।

আমের জন্য বিখ্যাত মালদা। এই জেলার নাম এলেই অবধারিত ভাবে আসবে আমের কথা। এই এক একটি জিনিসের জন্য এক এক জায়গা বিখ্যাত হয়েছে। নদিয়া জেলার তেমনই একটি জায়গা হল মাজদিয়া। কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গা। এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। মূলত বেশিরভাগ জমিতে ধান, পাট-সহ অন্যান্য ফসলের চাষ হতো। তবে গত কয়েক বছর ধরে চাষিরা খুব একটা লাভবান হচ্ছিলেন না। লাভের মুখ না দেখতে পেয়ে চাষিরা অন্য চাষে যুক্ত হন। ধান-পাট চাষ হতো যে জমিতে এখন সেই সব জমিতে লাগান হয়েছে কাঁঠাল গাছ। অনেকে আম গাছও লাগিয়েছে। মাজদিয়া এলাকার বেশিরভাগ জমিতেই এখন চাষ হচ্ছে আম ও কাঁঠাল। গোটা মাজদিয়া এলাকায় এখন অর্ধেকের বেশি জমি আম ও কাঁঠাল বাগান হয়ে গিয়েছে। এখন গোটা দেশের কাছে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে মাজদিয়ার কাঁঠাল।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন বাজারে মাজদিয়ার কাঁঠালের নাম ছড়িয়ে পড়েছে। কাঁঠাল চাষের জন্য এখন আলাদা করে বিখ্যাত হয়েছে কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া। কাঁঠাল পাক্তে এখন আর কিছুটা সময় বাকি। তাও বাজারে আসছে প্রচুর এঁচোড়। এই এঁচোড় দিল্লি, গুজরাট, পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে। মাজদিয়া বাজারে কৃষকরা পাইকারি ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন এঁচোড়। চাষিরা জানাচ্ছেন আগে একটি লাভের আসায় অনেক পরিশ্রম করতে হতো। এখন কাঁঠাল গাছ লাগিয়ে তাঁরা বছরে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারছেন। এবছর এঁচোড়ের ফলন খুব ভাল হয়েছে। দামও মিলছে ভাল। সব মিলিয়ে এখানকার চাষিরা খুশি। প্রথাগত চাষের বাইরে বেরিয়ে এখন লাভবান হচ্ছেন মাজদিয়া এলাকার চাষিরা। অল্প বিনিয়োগ ও পরিশ্রমে ভাল আয় হওয়ায় এখন অনেক চাষি নিজের জমিতে আমা ও কাঁঠাল গাছ লাগানোর দিকে ঝুঁকছেন।