ad
ad

Breaking News

Bardhaman

নকল ব্র্যান্ডেড চা-প্যাকেটের রমরমা, পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল কারচুপি

গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রশাসন এবং ইউনিট সার্কেল অফিসারের নেতৃত্বে অ্যান্টি পাইরেসি উইং ইস্ট-এর একটি বিশেষ দল শুক্রবার আকস্মিকভাবে অভিযান চালায়।

Fake branded tea packets in full swing, police raid uncovers fraud

চিত্র: নিজস্ব

Bangla Jago Desk: বর্ধমান শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভেজাল চা বিক্রির ঘটনায়। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রশাসন এবং ইউনিট সার্কেল অফিসারের নেতৃত্বে অ্যান্টি পাইরেসি উইং ইস্ট-এর একটি বিশেষ দল শুক্রবার আকস্মিকভাবে অভিযান চালায়। বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার, নীলপুর বাজার এবং বড় মিরপুর বাজারের একাধিক মুদিখানার দোকানে।

এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল চা বাজেয়াপ্ত করা হয়, যা দেখতে অবিকল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড—বিশেষ করে টাটা টি প্রিমিয়াম ডাস্ট—এর মতো হলেও তার গুণমান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের এবং স্বাদ-গন্ধ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। জানা গিয়েছে, এইসব ভেজাল চা-পাতা বাইরে থেকে এনে বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের লোগো ও লেবেল ব্যবহার করে বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল।

অ্যান্টি পাইরেসি উইং ইস্ট-এর ইউনিট সার্কেল অফিসার অঞ্জন কুমার দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, “এই চাগুলোর গঠন বা রঙ অনেকটা নামী ব্র্যান্ডের মতো হলেও, এগুলোর কোনও গন্ধ নেই। সাধারণ ক্রেতা তো দূরের কথা, দোকানিরাও অনায়াসে ঠকে যাবেন।” তিনি আরও জানান, এই ধরণের চা মূলতঃ অন্যান্য রাজ্য থেকে এনে স্থানীয়ভাবে প্যাকেটজাত করে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু বর্ধমান নয়, গোটা রাজ্য ও দেশ জুড়েই চলছে এই ধরনের ভেজাল চা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত দোকানদারদের অনেকেই দাবি করেছেন, তারা নিজেরা জানতেন না চা ভেজাল। তারা বলেন, “আমরা বাজার থেকে প্যাকেট আকারে চা কিনে এনে দোকানে বিক্রি করি। প্যাকেটে টাটা বা অন্য ব্র্যান্ডের লোগো থাকলে তো আমরা ধরতেই পারি না এগুলো ভেজাল!”

এই বক্তব্যেই স্পষ্ট যে এই ধরনের ভেজাল চা পাচারের পেছনে রয়েছে একটি বৃহৎ চক্র, যারা অত্যন্ত সূক্ষ্ম কৌশলে নকল প্যাকেজিং ও ব্র্যান্ড লোগো ব্যবহার করে বাজারে প্রবেশ করছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কঠোর নজরদারির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ ও দোকানদারদের সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।