ad
ad

Breaking News

উদগ্রামের পুজো

কামানের শব্দে হতো দেবীর বোধন! আজ কৌলীন্য কমলেও কমেনি ঐতিহ্য

Bangla Jago Desk: একটা সময় বাংলাদেশের দিনাজপুরের রাজবাড়ির কামানের গোলা ফাটানো হতো। সেই কামানের গগনভেদি শব্দে উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম রাধিকাপুরের উদগ্রামে শুরু হত ৫০০ বছরের পুরনো পুজোর দুর্গার বোধন। তবে আজ সে সবই ইতিহাস। আজ রাজা নেই, নেই রাজপাট। দেশভাগের পর আজ সেখানে কাঁটাতারের বেড়া। দুর্গা মন্দিরের নামে থাকা কয়েক বিঘে জমি চলে […]

Bangla Jago Desk: একটা সময় বাংলাদেশের দিনাজপুরের রাজবাড়ির কামানের গোলা ফাটানো হতো। সেই কামানের গগনভেদি শব্দে উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম রাধিকাপুরের উদগ্রামে শুরু হত ৫০০ বছরের পুরনো পুজোর দুর্গার বোধন। তবে আজ সে সবই ইতিহাস। আজ রাজা নেই, নেই রাজপাট। দেশভাগের পর আজ সেখানে কাঁটাতারের বেড়া। দুর্গা মন্দিরের নামে থাকা কয়েক বিঘে জমি চলে গিয়েছে ওপারে। আর এপারে রয়েছে মন্দির এবং মন্দিরের সংলগ্ন কিছু কৃষিজমি।

সেই জমি চাষ করে ও ভক্তদের দানের টাকায় পুজো হয়। দুই বঙ্গের বিভাজন উদগ্রামের পুজোয় কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। আজ কামান দাগার আওয়াজ না থাকলেও সেই পুরনো প্রথা মেনে সময় মতো দশভূজার ঘট বসানো হয়। পুজোর চারটে দিন গোটা গ্রাম জুড়ে চলে নিরামিষ ভোজন। এই চারটা দিন গ্রামের মানুষ গ্রাম ছেড়ে যায় না। কাজের সূত্রে যারা গ্রামের বাইরে থাকেন, তাঁরা পুজোর সময় বাড়িতে ফিরে আসেন।

দুই বাংলার কাটাতারের মধ্যে ভিভাজন হলেও দেবী দশভূজার পুজোয় কোনও খামতি রাখতে চায় না গ্রামের মানুষ। পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে নামে মানুষের ঢল।আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি আছে। গোটা গ্রামে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। ৫০০ বছরের ইতিহাস জড়িয়ে থাকা দুই দেশের সীমান্তের এই পুজোয় মেতে উঠবে গ্রামের সব মানুষ। তবে শুধু পুজোর সময় নয়, বছরের অন্যান্য সময়ে বিয়ে থেকে অন্নপ্রাশন বা যে কোনও শুভ কাজে এই মন্দিরে এসে মানুষ আশীর্বাদ নেয়।