Bangla Jago Desk: আলুর দাম যাতে আর না বাড়ে সেজন্য কলকাতার মতোই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে চলছে অভিযান। মালদাতেও বাজারে বাজারে হানাদারি চোখে পড়ছে। যার জেরে আলুর দর আশাপ্রদভাবে কমছে। খুচরো বাজারে কেজিপ্রতি আলুর দাম ৩০টাকা বেঁধে দিতে চায় প্রশাসন। ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে ২৫-২৬ টাকায় আলু বেচা হচ্ছে পুরবাজারে। আলু ছাড়া রান্না হয় না। আলুর জোগান যত বাড়বে ততই বাজারে আলুর দর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একথা বুঝেই কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বাজারে ছাড়ার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বাজারে ছাড়া হয়।
তারপরেও দেখা যায় মধ্যসত্ত্বভোগীরা মোটা টাকা লাভের জন্য চড়া দরেই আলু বেচছে।তাই আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। সুফল বাংলার স্টলেও আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে। অগ্নিমূল্যে রাশ টানতে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বাজারে গিয়ে হানা দিচ্ছেন। তাতে খুব একটা সুরাহা হয়নি বলে ক্রেতারা জানান। আলু উৎপাদন ও স্বনির্ভর হওয়া নিয়ে বিধানসভায় কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আলু নিয়ে ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা আর নয়। এবার থেকে বাংলায় উৎপাদন করা হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু বীজ। ২০২৫ সাল থেকেই রাজ্যে উৎপাদন করা হবে ৫০ লক্ষ আলু বীজ।
এভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে আলু উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হবে রাজ্য সরকার। দীর্ঘমেয়াদি নীতি গ্রহণের পাশাপাশি বাজারে বাজারে হানাদারি জারি রেখেছে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।কলকাতার মতোই জেলাতেও এই অভিযান জারি। মালদায় দেখা যায় মূল্যনিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে জোরকদমে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর জেলা প্রশাসন ও মালদা মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স।
বিভিন্ন রকমের আলুর দর নেমেছে বাজারে। ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। তবে সাধারণ আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার নির্দেশ জারি করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে প্রশাসনের উদ্যোগে মালদা শহরে মকদুমপুর ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র পৌর বাজার, নেতাজি পৌর বাজার এবং ঝলঝলিয়া পৌর বাজারে প্রশাসনিক স্টলে ২৫ – ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে আলু। আলুর দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে প্রশাসনের এই নজরদারি আসলে তাঁদের স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন আমজনতা।