Bengla Jago Desk: দশমীর দুপুর থেকে বেজে উঠেছিল বিসর্জনের বাজনা। দুপুর হতেই জেলার বিভিন্ন ঘাটে আসতে থাকে প্রতিমা। এক এক করে হয় নিরঞ্জন। প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে প্রত্যেকটি ঘাটে ছিল আছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। এবার দশমীতে দুর্যোগের পূর্বাভাস ছিল। ফলে বিসর্জনের সময় ঘাটগুলিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। মঙ্গলবার রাত গড়িয়ে যায় বিসর্জনপর্বে। পরদিন বুধবার সকাল থেকে আবার শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। জেলার বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে চলতে থাকে বিসর্জন। আনন্দে উচ্ছ্বাসে মিশে যায় বিষণ্ণতার সুর৷ সকাল থেকে একটার পর একটা প্রতিমাকে জেলারগুলির একাধিক ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
উপযুক্ত ব্যবস্থা সহ কড়া নিরাপত্তা বলয় আছে ঘাটগুলিতে।মঙ্গলবারের মতো বুধবারও উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতী নদীতে চলে বিসর্জন। এপারে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট আর ওপারে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা। দুই বাংলা থেকেই প্রতিমা এনে নদীর বুকে বিসর্জন পর্ব চলে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এবার ইছামতীতে বিসর্জনের জৌলুস আগের বছরগুলির থেকে অনেকটাই কম ছিল। তুলনামূলকভাবে অনেক কম সংখ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে।বহরমপুরের ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে সতর্কতার সঙ্গে চলতে থাকে বিসর্জন পর্ব।
এবার বহরমপুর পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ একটি ট্রলিতে প্রতিমাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই বিশেষ ট্রলি আস্তে আস্তে প্রতিমা নিয়ে চলে যাচ্ছে গঙ্গার পাড়ে। সেখান থেকে প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে।মাকে শেষ বিদায় জানানোর আগে ধুনুচি নাচ এবং সিঁদুর খেলায় মেতেছে একাধিক বারোয়ারি ও বনেদি বাড়ির মহিলারা। প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটেও। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে পুরনিগম একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। বড় কাঠামো জল থেকে তোলার জন্য করেন ব্যবহার করা হয়। মঙ্গলবার নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছিল নিরঞ্জনপর্ব। বুধবারও বাকি প্রতিমার বিসর্জন হয় শান্তিতেই।
Free Access