প্রাণঘাতী হামলা! কলকাতার ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি করে চম্পট

প্রীতম ভান্ডারী: কুলতলী: রাতের অন্ধকারে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি! ছড়া হল বোমাও। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। রবিবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার অন্তর্গত রুপনগর এলাকায়। আহত ওই ব্যবসায়ীর নাম সেলিম খা (Gun Attack)। 

আরও পড়ুনঃ সোনম ওয়াংচুক গ্রেফতারি: লাদাখ এবং যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের পুলিশ সুপারকে নোটিস

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলতলী কুন্দখালি বৃন্দাবনের খেয়া এলাকায় একটি চা ও মুদি দোকান চালায় ওই ব্যবসায়ী। এদিন রাতে ক্রেতা শেষে ওই দোকানে আসে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপর ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালায়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে বোমাবাজি করতে করতে এলাকা থেকে সম্প্রদায় দুষ্কৃতীরা। চম্পট দেওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে পড়ে যায় আগ্নেয়াস্ত্র। এরপর স্থানীয়রা কুলতলী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে ব্যক্তিকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জামতলায় জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় দ্রুত তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। (Gun Attack)

লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial

আহত ওই ব্যবসায়ীর আত্মীয় আফতার লস্কর বলেন, “বেশ কয়েকদিন আগে টোটো সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হামলাকারীদের সঙ্গে ঝামেলা হয় আমার ভাইপোর। এরপর সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে বিধায়ক সাহেবকে জানালে বিধায়ক আশ্বাস দেন পুজোর পরে মীমাংসা করা হবে। প্রতিদিনের মতনই চায়ের দোকান খুলে ছিল সেলিম সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীরা এসে সেলিমকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালায় এরপর বোমা ছুড়তে ছুড়তে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। আমরা কুলতলী থানা পুলিশকে জানিয়েছি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসছে আমরা চাই অভিযুক্তরা গ্রেফতার হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক”।

এ বিষয়ে ক্যানিং এসডিপিও রামকুমার মন্ডল জানান, রবিবার রাতে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা এই খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে কুলতলী থানার পুলিশ পৌঁছায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এলাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ ওই ব্যবসায়ীকে চিকিৎসা করানোর জন্য কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা। সম্পূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়। আহত ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যরা যে সকল ব্যক্তির নাম জানাচ্ছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। (Gun Attack)

সেলিমের হাতে, বুকে ও পিঠে আঘাত পেয়েছে বলে খবর। ঘটনার পর দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। খবর পেয়ে কুলতলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালানো হয়েছে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এলাকায় লোডশেডিংও করা হয়।

তবে কী কারণে এই হামলা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা- সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভরসন্ধ্যায় এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ভরসন্ধ্যায় ব্যস্ত এলাকায় এমন প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঠানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সেলিমকে নিজেদের দলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করে জালাবেড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান অসীম হালদার বলেন, “উনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। কেন তাঁকে গুলি করা হল, আমরা বুঝতে পারছি না। প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। আমরা তাঁকে এখন কলকাতায় পাঠাচ্ছি। তাঁর অবস্থা খুবই খারাপ”। (Gun Attack)