নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: ভোটার তালিকার গণ্ডগোলে বার্ধক্যভাতা আটকে যাওয়ায় বিপাকে পরেছেন রামপুরহাট-১ ব্লকের ৭৭বছরের এক বৃদ্ধ। ভোটার তালিকা তাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়ছে। শুধু তাই নয়, ঐ বৃদ্ধর স্ত্রী প্রয়াত হলেও ভোটার তালিকায় তাঁকে জীবিত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধর ।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। তারপর আচমকা ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ হয়ে যান বীরভূমের রামপুরহাট এক ব্লকের নারায়ণপুর অঞ্চলের কানাইপুর গ্রামের বাসিন্দা ধীরেন মাল। ভোটার তালিকা তাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হলে আটকে যায় বার্ধক্যভাতা। এর জেরে মহা ফাঁপরে পড়েছেন বৃদ্ধ।
ধীরেন মালের দুই ছেলের মধ্যে একজনের অনেক আগে বজ্রাঘাতে মারা গেছে। অপর ছেলে পৃথক থাকে। পাঁচবছর আগে স্ত্রীও গত হয়েছেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একাই থাকেন। এই অবস্থায় ভরসা বলতে কেবল বার্ধক্যভাতা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে দেখেন ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। ভোটার তালিকা তাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়ছে।
আরও পড়ুনঃ জমি দখলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বচসা, তীব্র উত্তেজনা এলাকায়
এরপর তিনি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে বিডিও অফিসে আবেদন জানালেও ভোটার তালিকায় নাম ওঠেনি। ভোটার তালিকায় এই গড়মিলের জেরে পাঁচমাস আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বার্ধক্যভাতা। এদিকে তার স্ত্রী পাঁচ বছর আগে গত হলেও ভতার তালিকায় রয়ে গিয়েছে তাঁর নাম।
বৃদ্ধ ধীরেন মাল বলেন, ‘আমার স্ত্রী মারা গেছে প্রায় পাচ বছর আগে কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে দেখি ভোটার লিষ্টে আমার স্ত্রী নাম আছে আমার নাম নেই।আমি অফিসার দের বলি আমার স্ত্রী মারা গেছে তার নাম আছে আর আমার নাম নেই। ভোটার লিষ্টে নাম না থাকায় আমি বার্ধক্যভাতাও পাচ্ছি না। আমার কেউ নেই’। এবিষয়ে রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চায়নি। তিনি জানিয়েছেন তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।