ad
ad

Breaking News

Purba Bardhaman

পূর্ব বর্ধমানে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনে চলছে সাংস্কৃতিক উৎসবের আবহ

সকালের আকাশভরা আলো ছুঁয়ে মঞ্চে একে একে গান, কবিতা, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন জেলার বিশিষ্ট শিল্পীরা। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক সংস্থার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

Cultural festival atmosphere underway in East Burdwan to celebrate Rabindra Jayanti

নিজস্ব চিত্র

Bangla Jago Desk: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান ঘিরে উপচে পড়ে ভিড়।

অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে। উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক আয়েশা রানী এ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ), তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস এবং পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার।

সকালের আকাশভরা আলো ছুঁয়ে মঞ্চে একে একে গান, কবিতা, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন জেলার বিশিষ্ট শিল্পীরা। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক সংস্থার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

[আরও পড়ুন: রামনগরে রবিতীর্থের আয়োজনে মহাসমারহে অনুষ্ঠিত হলো ‘কবি প্রণাম’]

জেলা শাসক তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথের বৈচিত্র্যময় সৃষ্টি ও দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “রবীন্দ্রনাথ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণ। তাঁর আদর্শ আজকের সমাজে আরও প্রাসঙ্গিক।” সভাধিপতি ও অন্যান্য অতিথিরাও রবীন্দ্রনাথের চেতনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রাখবে।

এই অনুষ্ঠান শুধু পূর্ব বর্ধমানেই নয়, গোটা বাংলা জুড়েই রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কবিগুরুর প্রতি এই সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রমাণ করে—তাঁর সৃষ্টি ও চেতনা আজও আমাদের মননে ও সংস্কৃতিতে জ্যোতির্ময়।