ad
ad

Breaking News

West Bengal

বাংলাকে নিজের ঘর মনে করুন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

মেলার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুণ্যার্থীদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে

Consider Bengal your home, says Chief Minister

চিত্র: সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: জয় চক্রবর্তী : ‘গঙ্গাসাগর মেলা কুম্ভ মেলার থেকে কোনও অংশে কম নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একাধিকবার বলেছি।‌ তবুও কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার তকমা দেয়নি।’ ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুম্ভ মেলায় কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাপায়কুম্ভ মেলা। অথচ গঙ্গাসাগর মেলায় পুর্ণার্থীদের জল পেরিয়ে কষ্ট করেই আসতে হয়। তবুও জাতীয় মেলার তকমা পায়নিগঙ্গাসাগর মেলা। কপিলমুনির আশ্রম কর্তৃপক্ষ, মেলা কমিটির পক্ষ থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করা করেছে যাতে এই মেলাতে জাতীয় মেলা করা হয়।

পাশাপাশি মুড়িগঙ্গার ওপর সেতু নিয়ে আরও একবার উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বলেন,‘আমি দশ বছর ধরেই বলেছি মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর একটা সেতু তৈরি করতে হবে। সেটাও করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি সেতু আমরাই করব। ইতিমধ্যেই দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। আগামী বছর পাঁচেকের মধ্যেই সেতু তৈরি হয়ে যাবে।’ মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সেতুটির নামকরণ করেছেন ‘গঙ্গাসাগর সেতু’। চার লেনের সেতু হবে। গঙ্গাসাগর সেতু তৈরি হওয়ার পরে কপিল মুনি আশ্রমকে কেন্দ্র করে আধ্যাত্বিক পর্যটনে নতুন গতি আসবে। নবান্নতে বৈঠক করার পরে ইতিমধ্যেই দু’দিনের সফরের মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগরে। সাগরে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।মুখ্যমন্ত্রীবলেন, ‘আমরা ২০১১ সালে আসার আগে একটা ঘর ছিল না সাগরে। তার ওপর তীর্থযাত্রীদের থেকে কর নেওয়া হতো। কিন্তু আমাদের সরকার আসার পর এই মেলার সব খরচ বহন করে।১২ জন মন্ত্রী থাকছেন সমস্ত ব্যবস্থাপনায়। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও থাকবেন। সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করেছে।’

[আরও পড়ুন: কুম্ভের জমি দখল করতে দেব না, ওয়াকফ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে হুঙ্কার যোগীর]

ইতিমধ্যেই সাগরে তিনটে হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা হয়েছে। মেলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে ১৭ তারিখ পর্যন্ত। ১৪ জানুয়ারি ৬:৫৮ মিনিট থেকে পুণ্যস্নান শুরু হবে গঙ্গাসাগরে।পুণ্যার্থীদেরউদ্দেশেমুখ্যমন্ত্রীবলেন, ‘ক্যাম্প এলাকায় আগুন জ্বালানো নিষেধ করা রয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আমাদের নিজেদের ভুলের জন্য যেন অন্য কারও ক্ষতি না হয়ে যায়। সাধুরা অনেক সময় আগুন জ্বালান। আমি অনুরোধ করব ছোট জায়গায় সেটা করার।’ ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাকে নিজের ঘর মনে করুন।’

[আরও পড়ুন: ভগবান নই, আমিও মানুষ মিশন নিয়ে রাজনীতিতে আসুক তরুণরা : মোদি]

মেলার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুণ্যার্থীদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৩০০টি সরকারি এবং আড়াইশোটি বেসরকারি বাসের ব্যবস্থা রয়েছে। ৯টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ২১টি জেটি তৈরি রয়েছে। বাংলা ছাড়াও হিন্দি ইংরেজি সহ বেশ কিছু ভাষাতে ঘোষণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমস্ত বাসে ‘সাগর বন্ধু’ থাকছে। যেকোনও সমস্যার সমাধানে জন্য তারা থাকছে।আমাদের সরকার ড্রেজিং করেছে, ফলে কুড়ি ঘণ্টা লঞ্চ যাতায়াত করতে পারে।’ আমি নিজে ঘুরে এসেছি সমস্ত ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য।’ বাবুঘাটের মঞ্চ থেকেমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নি নির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা দফতরের মোট ৫০টি গাড়ির সূচনাকরেন এবং জঙ্গিপুরের একটি নতুন দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। পরিবহণ দফতরের একটি ই-ভেসেলের উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী।