চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে দেশের শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, চাইলে কাল থেকেই দেউচাপাচামিতে কাজ শুরু করা যেতে পারে। খনিশিল্প প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জমিদাতাদের চাকরি দিয়ে যে মানবিক পথে বাংলার সরকার খনি শিল্পের বিকাশ ঘটাতে চাইছে সেই বার্তাও দেন প্রশাসনিক প্রধান।
বিশ্বের সপ্তম বৃহত্ কোল ব্লক হল দেউচা পাচামি,যা বাংলার শিল্প-বিকাশের অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে। এই কয়লাখনিতে মজুত রয়েছে,১হাজার ২৪০ মিলিয়ন টন কয়লা,এছাড়াও ২হাজার ৬০০মিলিয়ন ব্যাসল্ট।সেই স্বপ্নের প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য সরকার যে আন্তরিক সেকথা এই বাণিজ্যের মেগা কর্মষজ্ঞে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই মানবিক ভূমিকা নেয়।বাম আমলে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে জোর করে জমি নেওয়ার ভুল পথ ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। কয়লা প্রকল্পের জন্য প্রায় ২২৬৮ একর জায়গা দরকার। নির্দিষ্ট ১০ টি মৌজা থেকে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সরাসরি জমি কিনতে শুরু করে। সেইসব জমিদাতাদের জীবন-জীবিকার কথা মাথায় রেখে চাকরি দিয়ে জমি নেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী শিল্প ষজ্ঞের এই মহা সম্মেলনে আশ্বস্ত করেন বিদ্যুতের জোগানের কোনও অভাব হবে না।দেউচা পাচামি তে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। এখানে যা কয়লা রয়েছে তাতে আগামি একশো বছর বিদ্যুতের খামতি থাকবে না। এখানে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। যদি কোনো শিল্প সংস্থা এখানে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আমার মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
স্বপ্নপূরণ হওয়ায় বীরভূমের মানুষের সোনায় সোহাগা।তাঁরা এই বিকল্প ভাবনা নিয়ে খনি শিল্পের ভিত গড়ার কাজকে বাহবা দিচ্ছেন।সমাজের সব অংশের মানুষই এখানে রোজগারের সুযোগ পাবে বলে আশা।মুখ্যসচিবের কাজে শিল্পপতিরা যোগাযোগ করতে তত্পরতা বাড়াতে চায়।