Bangla Jago Desk: চন্দননগরের আলোর জাদুকর মানে এতদিন সবাই চিনতেন বাবু পালকে। সম্প্রতি তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তাই সেই আলোক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছেন মেয়ে। কর্মীদের নিয়ে বাবার কাজের ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে স্টুডিয়ো-তে। বাবু পাল সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলির ওপরে থিমের আলো করতে পছন্দ করতেন। সেরকমই থিম আগামী দিনে দেখা যাবে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে। আলোর শহর চন্দননগর। সেই চন্দননগরের আলো মানেই বাবু পাল। তাঁর আলো ছাড়া চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজো ভাবাই যেত না। তবে এবারই প্রথম বাবু পাল নেই। তিনি না থাকলেও তাঁর সৃষ্টি এবারও দেখা যাবে চন্দননগরের জগদ্বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোয়।
চন্দননগরের শ্রীধর দাস পরবর্তী যুগে আলোর জাদুকর বলতে বাবু পালকেই চেনেন অনেকে। প্যারিস থেকে দুবাই, অমিতাভের বাংলো থেকে আম্বানির বাড়ি, দিল্লি-মুম্বই, সবই সেজেছে বাবু পালের আলোয়। আলোর সেই জাদুকর প্রয়াত হয়েছেন দুর্গাপুজোর আগে আগস্ট মাসে। শিল্পীর স্ত্রী চিত্রলেখা, মেয়ে সুশ্বেতা পালের কাছে সেই সময়টা ছিল কঠিন। তবু তাঁরা সামলে উঠেছেন। পুজোয় কলকাতা, দিল্লি-সহ বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর পালা। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে প্রতি বছর বহু মানুষের ভিড় হয় সাবেক ফরাসডাঙায়।
সেই শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ আলোর খেলা। শোভাযাত্রায় বাবু পালের আলো দেখার অপেক্ষা থাকেন সবাই। এবার একটি বারোয়ারির আলো করছেন সুশ্বেতা। তাঁর কথায়, বাবার অসুস্থতার সময় জগদ্ধাত্রীর আলোর বরাত এসেছিল। বেশোহাটার পুজোর দেখা যাবে সেই আলোর খেলা। সার্কাস থিমের সেই আলো তৈরি করতে ব্যস্ততা এখন পঞ্চানন তলার কারখানায়। এলইডি ল্যাম্প থেকে মেকানিক্যালের কাজ দেখা যাবে তাতে। সুশ্বেতার কর্মীরা বাবু পালের ঐতিহ্য সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যেতে রাতদিন এক করে কাজ করে চলেছেন।
বাবু পাল সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলির ওপরে থিমের আলো করতে পছন্দ করতেন। সেরকমই থিম আগামী দিনে দেখা যাবে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে। এমনই জানালেন সুশ্বেতা পাল। পুজো এলেই কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে চন্দননগর পঞ্চাননতলার বাবু পালের আলোর স্টুডিয়ো। প্রতি বছরই নতুন নতুন আলোর জাদু সৃষ্টি ছিল বাবু পালের আলোর আকর্ষণ। সেই আলোকশিল্পী প্রয়াত এই বছর। বিখ্যাত এই মানুষটির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তাঁর মেয়ে।