নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: চন্দননগরের আলোর খ্যাতি শুধু বাংলাতেই নয়। জগদ্বাত্রী পুজোতে সেই ছবি আমরা দেখতে পাই। শুধু এই পুজোতেই নয়, রামমন্দির উদ্বোধনের সময়ও অযোধ্যার রাস্তা সেজে উঠেছিল আলোয়।
এমনকি চন্দননগরের এক আলো ব্যবসায়ী বৃন্দাবনের ভাঙা কুম্ভে আলো দিয়েছিলেন। ওই ব্যবসায়ী চন্দননগরের তালপুকুর ধারের বাসিন্দা এই তাপস যে এবারেও ডাক পেলেন উত্তর প্রদেশের মহাকুম্ভ মেলায়। নিজের ডিজাইন করা আলো দেখতে পাবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বহু অতিথি। যে কারণে তার উচ্ছ্বাসের ছবি ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়।
চন্দননগর থেকে ট্রাকে করে সমস্ত সরঞ্জাম ৭০০ কিমি পথ অতিক্রম করে পৌঁছে যাবে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। আলোকশিল্পী তাপস বাবু কুম্ভ প্রাঙ্গনে পৌঁছে আলোর কাজ শুরু করবেন। সকলেই তাপসের এহেন কাজে গর্বিত।
ঐতিহ্যবাহী এই মেলা প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, তিনি বলেন, “ঠিক যে ঘাটে ‘শাহি স্নান’ হবে তার পাশেই ৭০ হাজার স্কোয়ার ফুট এলাকা জুড়ে আমার আলো জ্বলবে। যেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে দেশ-বিদেশের অতিথিরা থাকবেন। তাঁরা আমার তৈরি আলোর খেলা দেখবেন, ভাবতেই শিহরণ জাগছে!”
ইটালিয়ান ঘড়ি, নাগরদোলা, ঝাড়বাতি ও দেব-দেবী সমৃদ্ধ ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মোট চারটি গেট থাকবে। এ ছাড়াও রাম-সীতা, শ্রীকৃষ্ণ, ছৌ-নাচ সহ ফুটে উঠবে আলোতে। পাশাপাশি হাততালির আওয়াজে বসে থাকা গনেশ উঠে সকলকে আশীর্বাদ জানাবে। তাপস জানান, মূলত যন্ত্রনির্মাণ কাঠামোতে আলো খেলা দেখাবে।
চন্দননগরের আলো ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের রাম মন্দির, কুম্ভ মেলাতে যাচ্ছে তাদের লাইট। এ বিষয়টি তাদের কাছে খুবই গর্বের। তাপস ইলেকট্রিকের কর্ণধার তাপস বাবু জানিয়েছেন, এর আগেও বহুবার তার লাইট এই কুম্ভমেলায় প্রদর্শনী হয়েছিল। এলাহাবাদ, বৃন্দাবনে তিনি গিয়েছিলেন আলোকসজ্জা দিতে।
হিমাদ্রি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড কেমিক্যাল এর তরফে তার ওপর এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রায় ২০ হাজার বিদেশি মানুষ জন তার লাইট দেখবেন। এটা তার কাছে খুবই আনন্দের একটি বিষয়। তার সঙ্গে যাবেন ন- জন কর্মচারী। পৌঁছনোর পর থেকেই তারা দিন রাত এক করে কাজে নামবেন বলে জানান তাপস বাবু।