ad
ad

Breaking News

Nadia

বিএসএফের জালে দুই পাচারকারী, উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা-রুপো

নদিয়া জেলায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিভিন্ন ঘটনায় সীমান্তের জওয়ানরা আবারও সোনা ও রূপো পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

BSF seizes gold and silver worth Rs 1 lakh from two smugglers

নিজস্ব চিত্র

Bangla Jago Desk:  সীমান্তে বড় সাফল্য বিএসএফের। সোনা ও রুপো পাচারের ছক ভেস্তে দিয়ে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতরা করল বিএসএফ জওয়ানরা। নদিয়া জেলায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিভিন্ন ঘটনায় সীমান্তের জওয়ানরা আবারও সোনা ও রূপো পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, ১১৬ গ্রাম সোনার বার এবং ৭.১ কেজি রুপো বাজেয়াপ্ত করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে পাচারের চেষ্টা করার সময় দুই চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিএসএফ। উদ্ধারকৃত সোনা ও রুপোর আনুমানিক মূল্য ১৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৭১ টাকা।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের জওয়ানরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে সম্ভাব্য সোনা পাচারের তথ্য পান গোপন সূত্র মারফত। এই তথ্যের ভিত্তিতে, জওয়ানরা নদিয়ার মাজদিয়া এবং নালুপুর গ্রামে দু’টি সম্ভাব্য স্থানে একটি বিশেষ নাকা চেকপোস্ট স্থাপন করেন। তল্লাশির সময়, জওয়ানরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে থামিয়ে তল্লাশি করে এবং তার মানিব্যাগ থেকে ১টি সোনার বার উদ্ধার করে। জওয়ানরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ধরে পুট্টিখালী সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ দোলের আগেই টোটো দৌরাত্ম্য রুখতে কড়া পদক্ষেপ

এরপর জিজ্ঞাসাবাদের সময়, আটক ব্যক্তি স্বীকার করে যে, সে পুট্টিখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং চোরাকারবারীদের হয়ে কাজ করে। কৃষ্ণগঞ্জ সেতুর কাছে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে এই সোনার বারটি হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল সে, যার বিনিময়ে  ৫০০ টাকা সে পেত বলে জানা গিয়েছে। তবে বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা এবং দ্রুত পদক্ষেপের কারণে, তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় এবং ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরা পড়ে।

একই, ভাবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত ফাঁড়ি বিথারিতে ১৪৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা বিথারি চেকপোস্টে একজন সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল আরোহীকে থামিয়ে তল্লাশি চালায়। মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারে লুকানো ৭.১ কেজি রুপোর অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়। জওয়ানরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত ফাঁড়ি বিথারিতে নিয়ে যায়। পাশাপাশি পাচারকারীর কাছে থাকা রুপোর অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করা হয়।