ad
ad

Breaking News

Jangalmahal

জার্মানিতে আয়রন ম্যানের সম্মান লাভ, বিশ্বজয় জঙ্গলমহলের আদিবাসী যুবকের 

জার্মানিতে আয়রন ম্যানের খেতাব পেলেন ঝাড়গ্রামের আদিবাসী যুবক। নির্ধারিত সময়ের আগেই ৩ গেমের চ্যালেঞ্জে সফল হয়েছেন জনা মাণ্ডি।

Biswajoy belongs to the tribal youth of Jangalmahal

Bangla Jago Desk: জার্মানিতে আয়রন ম্যানের খেতাব পেলেন ঝাড়গ্রামের আদিবাসী যুবক। নির্ধারিত সময়ের আগেই ৩ গেমের চ্যালেঞ্জে সফল হয়েছেন জনা মাণ্ডি। স্বপ্নপূরণ হওয়ায় তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত। জঙ্গলমহল থেকে জার্মানি,তাঁর যাত্রাপথ কেমন ছিল? কিভাবে জীবনের দীর্ঘপথ পেরিয়েছেন জনা ? সবটাই তাঁর মুখে শুনতে হবে।

জঙ্গলমহল ছাড়িয়ে সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর কীর্তি। বাংলার যুবক এবার বিশ্বজয় করে তাক লাগালেন। শারীরিক কসরতে  তিনি আগেই তাঁর সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন। আর  ৫জন যুবকের থেকে তিনি একেবারে আলাদা। ঝাড়গ্রামের কঠিন ভূমি থেকে দিনের পর দিন লড়াই করেছেন জনা মাণ্ডি। এবার জার্মানির ৩গেমের চ্যালেঞ্জ পূরণ করে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন জনা। কর্মসূত্রে তিনি জার্মানির বার্লিনে থাকেন। সেই জার্মানির ডুইসবার্গে বসেছিল আয়রন ম্যানের আসন।

[আরও পড়ুনঃ লোককথায় মনসার মাহাত্ম্য,ভেলা ভাসিয়ে দেবীকে তুষ্ট করা,গ্রামান্তরের মানুষ সেই পুজোয় ভিড় করেন

প্রতিবছরই কোনও না কোনও দেশে এই প্রতিযোগিতার আসর বসে। প্রতিযোগীদের সাঁতার, সাইকেল চালানো এবং দৌড় মূলতঃ তিনটি গেম সম্পূর্ণ করতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। অংশগ্রহণকারীকে প্রথমে ১.৯ কিলোমিটার সাঁতার, দ্বিতীয় ভাগে ৯০ কিমি সাইকেল চালানো এবং শেষে ২১.১ কিমি দৌড়তে হয়। সব মিলিয়ে ১১৩ কিলোমিটার কভার করতে হয় ৮ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে। এই সমস্ত মাপকাঠিতে মিলে গেল তাঁর খেতাব। এখন জঙ্গলমহলের জনা মাণ্ডিই হচ্ছেন জার্মানির আয়রন ম্যান।

বছর তেত্রিশের জনার বাড়ি ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে ছেত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের পালইডাঙা গ্রামে। কর্মসূত্রে আপাতত জার্মানির বার্লিনে থাকেন তিনি। জার্মানির ডুইসবার্গে গত ১ সেপ্টেম্বর বসেছিল ‘আয়রন ম্যান’-এর আসর। প্রতি বছরই ইউরোপের কোনও না কোন  দেশে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। ছোটবেলায় দেখা এই খেতাব পাওয়ার স্বপ্নপূরণে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি জনা। ‘ঝাড়গ্রাম শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনার সময়েই ছোটবেলার স্বপ্ন দেখেন ঝাড়গ্রামের জনা মান্ডি।

[আরও পড়ুনঃ সুসজ্জিত গণেশ চতুর্দশী উপলক্ষে মৃৎশিল্পীর দোকানগুলিতে গণেশের মূর্তি কিনতে ভিড় 

তারপর ধীরে ধীরে তিনি কসরতে নিজস্ব কেরামতি দেখান। ছোট থেকেই খেলাধুলো ও শরীরচর্চায় আগ্রহী জনা। নিজের উদ্যোগে ‘খেরওয়াল ফুটবল অ্যাকাডেমি’ নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলে স্থানীয় ছেলেদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। একজন কোচও নিয়োগ করেছেন সেখানে। এ সবের সঙ্গেই চলেছে পড়াশোনা। মাধ্যমিক দিয়ে চলে যান বেঙ্গালুরুতে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সমাজতত্ত্বে অনার্স করেন। তারপর শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি সংস্থায় বছর কয়েক চাকরি। সেই চাকরিই ছেড়ে ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং নিয়ে এমবিএ পড়তে জার্মানি যান তিনি। এমবিএ শেষে ২০২১ থেকে বার্লিনের একটি বিনিয়োগ সংস্থায় অপারেশন ম্যানেজারের কাজ করছেন।

ছোট থেকেই খেলাধুলো ও শরীরচর্চায় আগ্রহী জনার। চাকরি ছেড়ে ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং নিয়ে এমবিএ পড়তে জার্মানি যান তিনি। এমবিএ শেষে ২০২১ থেকে বার্লিনের একটি বিনিয়োগ সংস্থায় অপারেশন ম্যানেজারের কাজ করছেন। তার পাশাপাশি তিনি যেভাবে সাফল্যের শিখর ছুঁয়ে বাংলার গৌরব বাড়ালেন বলা যায়।