নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: নিউট্রিশনের জন্য মিড ডে মিলে যুক্ত হচ্ছে নানা পুষ্টিকর খাবার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে মাছ-ভাতের মতোই বিরিয়ানিও। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এক নম্বর ব্লকের পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। পড়ুয়ারা মহানন্দে সেই বিরিয়ানি খায়।
প্রাথমিকের পড়ুয়ার পাতে পড়লো বিরিয়ানী! রামনগর ১নম্বর ব্লকের পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা তাতে ভীষণ খুশি। সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রিশন এর জন্য রাজ্য সরকারের এটি বিশেষ উদ্যোগ।স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের ৮৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৮৩ জন পড়ুয়াকে সপ্তাহে দু’দিন করে অতিরিক্ত ডিম দিতে হবে, আগে যা এক দিন করে দেওয়া হত।
এছাড়াও পুষ্টিকর ফল থাকতে হবে খাবারে। এর জন্য মাথাপিছু আট টাকা করে খরচ করবে রাজ্য। মিড-ডে মিলে বাড়তি পুষ্টি সংযোজনের সময়সীমা পাঁচ সপ্তাহ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩১ মার্চ, ২০২৫ এর মধ্যে এই নিয়ম প্রতিটি স্কুলে বলবৎ করার নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।
সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রিশন হিসেবে প্রতিটি স্কুলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে।পুরুষোত্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বলেন একদিকে সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রেশনের মেনে ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন খাবার দেওয়া হচ্ছে অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের আবদার মেটানোর জন্যই আজ বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের আবদার মেটাতে মিড ডে মিলে এলাহি আয়োজন স্কুলের। মিড ডে মিলে ভাত তরকারির বদলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে পড়ল বিরিয়ানি!
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় খাবারের নাম জিজ্ঞেস করা হয় সকলেই এক বাক্যে বলবে বিরিয়ানি। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিরিয়ানি শব্দটা আলাদা গুরুত্ব পায়। মূলত পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মিড ডে মিল দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিগুণ ঠিক রাখা অন্যদিকে স্কুল ছুট কমাতে মিড ডে মিলের গুরুত্ব অপরিসীম।
ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিগুণ মাথায় রেখে রাজ্য সরকার আগেই মিড ডে মিলের খাদ্য তালিকা করে দিয়েছে। সেই মত সপ্তাহে ছয় দিন মিড ডে মিল পরিবেশন হয় স্কুলগুলিতে। মিড ডে মিলের খাওয়ার তালিকায় ভাত ডাল তরকারি ডিম ও মাংস রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের আবদার মেটাতে মিড ডে মিলে বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা অভিভাবকদের মধ্যে খুশি বয়ে এনেছে।