ad
ad

Breaking News

Weather

সন্ধ্যা থেকেই ভিজবে বাংলা! রয়েছে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা, কি জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর দাপটে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে।

Bengal will be soaked from the evening! There is a possibility of Kalbaisakhi, what the wind office says

চিত্র - সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: চৈত্রের শুরুতেই প্রখর রোদের দাপটে হাঁসফাঁস অবস্থা। সকাল হতেই তীব্র গরম, রাস্তায় বেরোলেই ঘাম ঝরছে চুঁইয়ে। বসন্তকাল হলেও আবহাওয়া যেন গ্রীষ্মের আমেজ নিয়ে এসেছে। তবে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বস্তির খবর—আজ বুধবার সন্ধ্যা থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি। কোথাও কোথাও হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। বৃহস্পতিবার থেকে কালবৈশাখীর দাপট দেখা যেতে পারে। উত্তরবঙ্গেও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব অসমের ওপর একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। পাশাপাশি, একটি অক্ষরেখা ছত্রিশগড় থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত, অন্যটি কর্ণাটক থেকে কেরল পর্যন্ত। সেই সঙ্গে নতুন একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। এর প্রভাবেই রাজ্যের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে এবং ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে।

দক্ষিণবঙ্গ:

১৯ মার্চ, বুধবার: পশ্চিমের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।

২০ মার্চ, বৃহস্পতিবার: দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।

২১ মার্চ, শুক্রবার: দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলিতে।

উত্তরবঙ্গ:

১৯-২০ মার্চ: আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, তবে দিনের বেলায় অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হবে।

২১ মার্চ, শুক্রবার: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে।

বৃষ্টির প্রভাবে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। তবে রাতের তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। ফলে দিনের বেলা গরম কিছুটা বিরক্তিকর হলেও রাতের দিকে আবহাওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হতে পারে।

বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর দাপটে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষ করে কৃষকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, কারণ শিলাবৃষ্টি ফসলের ক্ষতি করতে পারে।