ad
ad

Breaking News

Army death

হলো না স্বপ্নপূরণ, ফিরলো কফিনবন্দী দেহ, ঝাড়গ্রামে শোকের ছায়া

দেশ মায়ের সুরক্ষায় ট্রেনিং-এ গিয়ে আর ফেরা হলো না জন্মদাত্রী মায়ের কোলে। ঝাড়গ্রামের বাড়িতে ফিরলো কফিনবন্দী দেহ।

Beach died prematurely due to the negligence of the trainer

Bangla Jago Desk: দেশ মায়ের সুরক্ষায় ট্রেনিং-এ গিয়ে আর ফেরা হলো না জন্মদাত্রী মায়ের কোলে। ঝাড়গ্রামের বাড়িতে ফিরলো কফিনবন্দী দেহ। মাত্র ২১ বছর বয়সেই প্রাণ গেল সুকজোড়া গ্রামের এক তরুণ যুবকের। যুবকের নাম সৈকত শিট। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে লড়াই করে উঠে এসেছিলেন  সৈকত। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে অগ্নিবীর ক্যাম্পে যোগদান করেন তিনি। দেশমাতৃকাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সৈকত। কিন্তু কে জানতো অকালে প্রাণ চলে যাবে এই তরতাজা যুবকের।

[আরও পড়ুনঃ প্রণব না থাকায় জৌলুস কমেছে,পল্টু দাকে মিস করে মিরিটি

জানা যায়, ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল হায়দরাবাদে। গত ১০ ই অক্টোবর নাসিকের আটারি স্টেশনে ফায়ারিং অনুশীলনের জন্য তাদের নিয়ে যান প্রশিক্ষকরা। প্রশিক্ষণ চলাকালীন আচমকা ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয় সৈকত এবং তার এক জন সহ কর্মীর। আরও একজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে খবর। মৃতের মা, সুলেখা শিট স্বন্তানহারা হয়ে স্বভাবতই শোকে কাতর। ছেলের মৃত্যুর জন্য প্রশিক্ষককে দায়ী করেন তিনি। তিনি জানান, প্রশিক্ষকের গাফিলতির জেরে অকালে প্রাণ গেলো সৈকতের।

শনিবার সৈকতের কফিনবন্দী দেহ এসে পৌঁছায় ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানার সুখজোড়া গ্রামে। এই ঘটনায় কার্যত, শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রাম জুড়ে। ছোটো বেলা থেকেই ইন্ডিয়ান আর্মি হবার স্বপ্ন দেখে ছিল সুকজোড়া গ্রামের ছেলেটি। অনেক পরিশ্রমের পর সুযোগ আসে এবং সমস্ত বাধা অতিক্রম করে যোগ দেন অগ্নিবীর ক্যাম্পে। হঠাৎ যেন অন্ধকার নেমে এলো তাঁর পরিবারে। শোক স্তব্ধ গোটা গ্রাম, তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গোটা গ্রাম জুড়ে লাগানো হয় ভারতীয় পতাকা। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার এ জন্ম। ছিলনা মাথা গোজার ঠাঁই। অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাবাকে পাকা বাড়িতে রাখাই ছিল তার একমাত্র স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন একবারে ভেঙেচুরে শেষ হয়ে গেলো। বিজয়া দশমীর দিন শোকের ছায়া ঝাড়গ্রামে।

[আরও পড়ুনঃ দশেরার সকালে খালে ডুবল অল্টো, মৃত ৪ শিশু-সহ ৮ জন