ad
ad

Breaking News

Nabadwip

রাস পূর্ণিমায় বড়শ্যামা মাতার আরাধনায় আলোয় ভাসছে নবদ্বীপ

দি ট্রাস্টিস অব বড়শ্যামা মাতা নামের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকেই সমস্ত খরচ বহন করা হয়।

baro-shyama-mata-puja-nabadwip-2024-308-years-of-devotion

চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স

Bangla Jago Desk: ঐতিহ্য, তন্ত্রসাধনা ও ভক্তির এক অনন্য সংমিশ্রণ নবদ্বীপের তেঘরীপাড়ার বড়শ্যামা মাতা পুজো। এবছর পা দিল ৩০৮ তম বছরে। ইতিহাস বলছে, ১৭১৮ খ্রিস্টাব্দে তন্ত্রসাধক ভৃগুরাম সদ্ধান্ত এই পুজোর প্রবর্তন করেন। তাঁর সাধনা ও তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তৎকালীন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে তেঘরী মৌজায় প্রায় ১২০০ বিঘা ভিটে জমি ও ১০০০ বিঘা মাঠের জমি দান করেছিলেন।

সেই থেকেই সূচনা হয় এই পুজোর ঐতিহ্য।প্রথমদিকে পুজোটি ছিল পারিবারিক, কিন্তু ক্রমে স্থানীয়দের অংশগ্রহণে তা সার্বজনীন রূপ নেয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়— বড়শ্যামা মাতা পূজায় কোনো চাঁদা তোলা হয় না। দি ট্রাস্টিস অব বড়শ্যামা মাতা নামের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকেই সমস্ত খরচ বহন করা হয়। ১৯৮৪ সালে প্রায় ৮০,০০০ টাকা ব্যয়ে মন্দিরটির বর্তমান রূপ নির্মিত হয়। এখানে ২৯ ফুট উচ্চতার দেবীমূর্তি প্রতি বছর রাস পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠা ও পূজিত হয়। সারা বছর ঘটে পূজা হলেও রাস পূর্ণিমাতেই হয় মূল আরাধনা ও প্রতিমা স্থাপন।ভৃগুরামের তিন পুত্র— গদাধর, কৃষ্ণরাম ও রামগোপালের বংশধরেরাই আজও এই পুজোর পুরোহিত।

প্রথা অনুযায়ী, বাইরের কোনো পুরোহিত এখানে পুজো করতে পারেন না। বড়শ্যামা মাতার পাশাপাশি নবদ্বীপে মেজো, সেজো ও ছোট শ্যামা মাতারও পুজো হয়।প্রতি বছর রাস পূর্ণিমার এই পুণ্যক্ষণে নবদ্বীপে ভক্তদের ঢল নামে। শাক্ত ও বৈষ্ণব ভাবধারার এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে এই শহর। ভক্তদের বিশ্বাস, বড়শ্যামা মাতার কৃপায় জীবনের সকল অন্ধকার দূর হয়ে আলোয় ভরে ওঠে মন ও মনন। এবছরও সেই ঐতিহ্যের ধারায়, ভক্তিমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে নবদ্বীপের বড়শ্যামা মাতা পুজো।