চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বাংলাদেশে বেড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইউনুস সরকার রাশ হাতে নিতেই মূল্যবৃদ্ধি,আর্থিক সমস্যা বেড়ে গেছে।তাই সেইসব মৌলিক সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে অন্তর্বর্তী সরকার ভারত বিরোধিতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে আওয়ামি লিগ সহ অন্যান্য মহলের নেতারা মনে করছেন। এই অবস্থায় ওপার বাংলায় অস্থিরতা বাড়ার মাঝেই মালদার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত বিরোধী জিগির ক্রমশ বাড়ছে,এমনটাই বলছেন সীমান্তের মানুষ।ওপার বাংলায় সাজো সাজো রব,সতর্ক পাহারায় বিএসএফ।সফর করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
এই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় বিএসএফকে। বাংলাদেশী নাগরিকদের একাংশ অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তেরে আশে এমন অভিযোগ ওঠে। সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আস্ফালন। সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও যোগ দেন। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি হয়। ২০১৫তে কেন্দ্রীয় সরকার আরও দুটি সীমান্ত চুক্তি করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে।সীমান্তে সুশৃঙ্খল আবহ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ভারত।তবুও এই আস্ফালন কেন প্রশ্ন, প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের।
[আরও পড়ুন : ‘বাংলা জাগো’র খবরের জের, বালি পাচার রুখল প্রশাসন]
স্থানীয়দের দাবী বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক বাংকার তৈরি করে ভারতের দিকে তাক করে। এমনকি বেড়া দিতে গেলে গুলি করে মারার হুমকি পর্যন্ত দেয়। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। তার মধ্যে আরও অশান্ত হয়ে উঠছে মালদার বৈষ্ণবনগর। প্রশ্ন উঠছে কেন কাঁটাতারের বেড়া দিতে এত আপত্তি বাংলাদেশের? উত্তেজনার পারদ চড়ছে সীমান্ত এলাকায়। তত্ত্বাবধায়ক ইউনুস সরকারের আস্ফালন বাড়ছে কেন? কী চাইছে বাংলাদেশ? পিছনে মদত কার? উল্লেখ্য, মালদার বৈষ্ণবনগর-এর ওপারে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ এলাকা। মালদা জেলায় বাংলাদেশ সীমান্ত মোট ১৭২ কিলোমিটার। স্থলভাগে ১৮ কিলোমিটারে নেই কোনও কাঁটাতার। বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুর গ্রাম লাগোয় সীমান্তের অনেকটা এলাকা অসুরক্ষিত। এই অসুরক্ষিত এলাকায় এবার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বিএসএফ মনে করছে কাজ সম্পন্ন হলে চোরাচালানসহ অপরাধমূলক কাজ সীমান্তে বন্ধ হবে।