ad
ad

Breaking News

Sundarban

মাছ-কাঁকড়া ধরায় জারি নিষেধাজ্ঞা, চরম বিপাকে মৎস্যজীবীরা

মৎস্যজীবীরা বলছেন, রাজ্য সরকারের 'সমুদ্র সাথী' প্রকল্পের আওতায় যদি ৫+৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেতেন, তাহলে অন্তত এই তিন মাসে পরিবার চালানো কিছুটা সহজ হতো।

Ban on fishing for fish and crabs, fishermen in dire straits

নিজস্ব চিত্র

Bangla Jago Desk: রেবতি মালি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: সুন্দরবনের কুলতলী, সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের হাজার হাজার ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী আজ চরম দুর্দশার মুখোমুখি। সরকারি নির্দেশে ১লা এপ্রিল থেকে আগামী তিন মাস নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বন দফতরের এই নির্দেশিকার জেরে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন এই অঞ্চলের মানুষ, যাদের জীবিকা নদী নির্ভর।

পুরুষানুক্রমে মাছ-কাঁকড়া ধরাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া এই মানুষগুলোর কাছে নদীই জীবন ও জীবিকা। কিন্তু এখন দিন কাটছে দুশ্চিন্তায় ও অভাবে। কখনও একবেলা খেয়ে দিন কাটছে, কখনও উপোস থেকে ঘুমোতে হচ্ছে।

তাদের অধিকাংশের বসবাস নদীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মাটির তৈরি ঘরে। এর উপর প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙন এবং বাঘের উপদ্রবে এমনিতেই বাঁচা দায়। এখন তিন মাস কাজ বন্ধ থাকায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

[আরও পড়ুন: গরমে গুলকন্দের ছোঁয়ায় তরতাজা করুন ত্বক, এটি কীভাবে তৈরি করবেন জানেন?

মৎস্যজীবীরা বলছেন, রাজ্য সরকারের ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পের আওতায় যদি ৫+৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেতেন, তাহলে অন্তত এই তিন মাসে পরিবার চালানো কিছুটা সহজ হতো। সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। এখন তাদের মনে নানারকম প্রশ্ন উঠে আসছে। এখন দেখা যাক, সরকার এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পাশে দাঁড়ায় এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোর।