চিত্রঃ নিজস্ব
Bangla Jago Desk: শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর: বাঁশ গাছ হাতির অন্যতম পছন্দের খাদ্য এবং বাঁশের বন তৈরি করলে হাতির খাদ্য সরবরাহ অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়। এটি হাতি-মানুষের সংঘাত কমাতেও সাহায্য করবে। বিশেষ করে দলছুট হাতি খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে গ্রামে। জঙ্গলের মধ্যেই তারা খাবার পেলে গ্রামে হানা দেওয়া কমবে বলেও মনে করছে বনদপ্তর। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর বন বিভাগে ৩০ হাজার বাঁশের চারা লাগানো হবে ৭৫ হেক্টর জায়গা জুড়ে। যার জন্য চারা তৈরীর প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত হাতি উপদ্রব এলাকায় এই বাঁশ গাছ লাগানো হবে বিভিন্ন প্রজাতির। যার মধ্যে চাঁদড়া, পিড়াকাটা, লালগড় এই তিনটি রেঞ্জেই ৩০ হাজার বাঁশ গাছের চারা লাগাবে জঙ্গলে। তবে একটি জায়গায় নয়, জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় বাঁশ গাছ লাগানো হবে। হাতিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে বলে মনে করছেন বনকর্তারা। চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক লক্ষীকান্ত মাহাতো বলেন, “মূলত হাতিদের খাদ্যের যোগান দিতে বাঁশ গাছ লাগানো হবে। দলছুট হাতিগুলি জঙ্গল ছেড়ে যখন তখন খাবারের খোঁজে গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে যায়। জঙ্গলে খাবার পেলে গ্রামে প্রবেশ করতে চাইবে না।”
এই চারা তৈরীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে বিশেষ পদ্ধতিতে রেঞ্জ অফিসগুলিতে নিজেরাই চারা তৈরি করছেন বনকর্মীরা। নির্দিষ্ট সময়ে তা জঙ্গল এবং জঙ্গল ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় লাগানো হবে। জাওয়া, ভালকি, তরল, বাশনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশের চারা তৈরি করা হচ্ছে। পিড়াকাটা রেঞ্জের আধিকারিক শুভজিৎ দাস বলেন, “যেসব জঙ্গলে হাতি থাকে, সেইসব জঙ্গলেই বেশি করে বাঁশ গাছ লাগানো হবে। বর্তমানে হাতিরা বিভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে অভ্যস্ত। কাঁঠাল, আম, বট, কুর্চি গাছের পাতার পাশাপাশি বাঁশ গাছও পছন্দ করে হাতিরা খেতে। ফলে দলছুট হাতি অন্যান্য গাছের পাতার সঙ্গে বাঁশ গাছের পাতা খেয়েও থাকতে পারবে। সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায় লোকালয়ে হাতির হানা অনেকটাই কমবে।