চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: সাধারণতঃ ভাদ্রের সংক্রান্তিতে পুজোপাঠ করা হয় বিশ্বকর্মার।মূলতঃ যিনি ব্রক্ষান্ডের নক্সা তৈরি করেছিলেন সেই দেবশিল্পীর আরাধনা করা হয় কলকারখানার মতোই উত্পাদনের নানা জায়গায়।সেজায়গায় ব্যতিক্রমী ছবি দেখা যায় হুগলির বেগমপুরে। পৌষ মাসের শুক্লা নবমীতে বিশ্বকর্মা পুজো হয় এখানে।কেন এই অসময়ে পুজোপাঠ হয় ? শিল্পীরা বলছেন,পুজোর সময় শাড়ি বোনায় ব্যস্ততা থাকার কারণে তন্তুবায় সম্প্রদায়ের মানুষজন পৌষ মাসে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। একসময় তাঁতিদের ঘরে ঘরে এই পুজো হলেও বর্তমানে একাধিক বারোয়ারি পুজো কমিটি বিশ্বকর্মা পূজোর আয়োজন করে থাকে। এই অকাল বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে উৎসবের মেজাজ। আর এই বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে আজ সাত সকালে বেগমপুরে উপস্থিত হন এলাকার সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।নানান শাড়ি দেখে তিনি ভীষণ খুশি হন।সাংসদের মতে, বাংলার এই গর্বের তন্তুবায় শিল্পের মর্যাদা বাড়াতে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া দরকার।
[আরও পড়ুন: সৌদি প্রো লিগে জয় আল নাসেরের, গোল করে নজির রোনাল্ডোর]
বেশ কয়েকটি পূজো মণ্ডপ ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁতিদের সাথেও কথাবার্তা বলেন সাংসদ। একটা শাড়ি বুনতে কতক্ষণ সময় লাগে, কত কষ্ট করে আপনারা এই শাড়ি বানাচ্ছেন ইত্যাদি বিষয় তাঁতিদের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করেন রচনা। এরপর সমবায়ে একের পর এক তাঁতের শাড়ি দেখেন তিনি। তাঁতিদের হাতে বোনা সুন্দর সুন্দর শাড়িতে অভিভূত হন রচনা। অন্যদিকে সময়ের তালে তালে বেগমপুর তাঁত জনপ্রিয় হলেও তাঁতিদের মজুরি বৃদ্ধি পায়নি,নতুন প্রজন্ম আসতে চাইছে না এই পেশায়। ফলে আক্ষেপ থেকে গেছে তন্তুবায়দের।
[আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর নিরাপত্তায় কুম্ভ মেলায় এআই প্রযুক্তি]
তবে রাজ্য সরকার তাঁদের জীবিকার মাণোন্নয়নে সহযোগিতা করায় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই সহজতর হচ্ছে বলে তাঁত শিল্পের ব্যবসায়ীরা মনে করেন