নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: ভাষা যেন তার কাছে খেলনার মতো—মাত্র ২ বছর ৪ মাস বয়সেই ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় দক্ষতা দেখিয়ে গোটা দেশের নজর কাড়ল ভাঙড়ের খুদে আরফাজ আরিন। সোনপুরের বাসিন্দা এই প্রতিভাবান শিশুর নাম উঠেছে (Bhangar Child Prodigy) সম্মানজনক ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’-এ। বয়সের তুলনায় তার এই কীর্তি নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর ও অনুপ্রেরণামূলক।
আরফাজের বাবা ওইদুল ইসলাম পেশায় একজন লিফট টেকনিশিয়ান। মা একজন গৃহবধূ। এই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা আরফাজ অল্প বয়স থেকেই দেখিয়েছিল ব্যতিক্রমী আগ্রহ ও বুদ্ধির ঝলক। মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই বাবা-মা তাকে পরিচয় করান বাংলা ও ইংরেজি ভাষার বর্ণমালা, শব্দভাণ্ডার, ছোট কবিতা, সপ্তাহ ও মাসের নামের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: Los Angeles: “লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করবো” উত্তর ক্যারোলাইনার সেনাছাউনি থেকে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে এই সব তথ্য মুখস্থ করে ফেলে। শুধু তাই নয়, নিখুঁত উচ্চারণেও সে সকলকে চমকে দেয়। ওইদুল ইসলাম নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করেন ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’-এর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। প্রয়োজনীয় ভিডিও রেকর্ডিং ও প্রমাণ পাঠানোর পর সংস্থা নিশ্চিত হয় (Bhangar Child Prodigy), এই শিশু সত্যিই ব্যতিক্রম। আর তৎক্ষণাৎ তারা স্বীকৃতি দেয় আরফাজ আরিনকে। এই স্বীকৃতি এখন শুধু পরিবার নয়, গোটা ভাঙড়ের গর্ব।
বাবা ওইদুল ইসলাম স্বপ্ন দেখেন, আরফাজ একদিন বড় হয়ে দেশের আইনের রক্ষাকর্তা হবে—একজন আইপিএস অফিসার। তবে তার বড় স্বপ্ন আরও একটা—ভাঙড়ের প্রতিটি ঘরে যেন শিক্ষার আলো পৌঁছায়। কারণ তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, শিক্ষা থাকলে মানুষ পথভ্রষ্ট হয় না, রাজনৈতিক হিংসাও অনেকটাই কমে যায়।
Bangla Jago FB Page: https://www.facebook.com/share/193NB43TzC/
এই বয়সে যে শিশু ভাষার জগতে এমন কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে, তার ভবিষ্যৎ যে কতটা সম্ভাবনাময়, তা বলাই বাহুল্য (Bhangar Child Prodigy)। আরফাজ আজ শুধু সোনপুর বা ভাঙড়ের নয়, গোটা বাংলার আশার প্রতীক। তার এই যাত্রা প্রমাণ করে—যোগ্যতা বয়সের অপেক্ষা করে না। ছোট্ট বয়সেও বড় স্বপ্ন দেখা যায়।