ছবিঃ নিজস্ব
Bangla Jago Desk , মাধব দেবনাথ : নাম থাকলেও এখন পরিচয় হারাতে বসেছে। কোথাও যেন গুমরে কাঁদছে সেই রবি ঠাকুরের কবিতার অঞ্জনা নদী। শহরের কংক্রিটে এবার হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কার হলে হয়তো আবারও ফিরে পেতে পারে প্রাণ। আবার দাবি উঠেছে এই নদীকে আগের অবস্থায় ফেরানোর।
রবি ঠাকুরের কবিতায় উঠে আসা অঞ্জনা নদীর নাম শোনেনি এমন বোধহয় কেউ নেই। আজ সেই অঞ্জনা নদী হারিয়ে যাওয়ার পথে। অবৈধ নির্মাণ এবং নোংরা আবর্জনায় ড্রেনে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অঞ্জনা নদীকে দেখে মন খারাপ হয় সকলের। এখন আর নদীর চেহারা নেই। কোথাও দুই ফুট চওড়া কোথাও তিন ফুট চওড়া নালায় পরিণত হয়েছে। যে অঞ্জনা নদীকে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কিছু মানুষ বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন, সেই নদী আজ ইতিহাসে জায়গা পেতে চলেছে। এখন আর অঞ্জনা নদী বলা হয় না। বলা হয় অঞ্জনা খাল।
[ আরও পড়ুন: Train cancel: বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ, বিপর্যস্ত রেল যাত্রীরা]
যদিও এখন পরিণত হয়েছে ড্রেনে। গত বছর কৃষ্ণনগর পুরসভা এই অঞ্জনা নদীকে সংস্কার করতে নেমেছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের মামলা শুরু হওয়ায় এই নদীর আর কোনও সংস্কার হয়নি। সাধারণ মানুষ ব্যাকুল হয়ে উঠেছে এই নদীকে আগের ফিরিয়ে আনার জন্য।
[ আরও পড়ুন: Sundarban: সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের জালে ১২টন ইলিশ]
এলাকার মানুষের কাছে এই নদীর যে ভূমিকা কতটা ছিল, তা দেখা গিয়েছিল ২০০০ সালের ভয়াবহ বন্যায়। অঞ্জনা নদী না থাকলে নদিয়ার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র কৃষ্ণনগর সেই সময় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন সেই নদীর নাব্যতা আর নেই। গ্রাস করেছে কংক্রিটের নির্মাণ। বেআইনি ভাবে জমি দখল করেছে অনেকে। কৃষ্ণনগরবাসীর কথায়, এই নদী আগের অবস্থায় ফিরতে পারে যদি প্রশাসন ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসে।