Bangla Jago Desk: কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর যেমন জনপ্রিয়, কালীক্ষেত্রগুলির মধ্যে এখন নৈহাটির বড়মা মন্দির সেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা–এই মন্দিরকে ঘিরে দর্শনার্থীদের মধ্যে এক উন্মাদনা দেখা যায়। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত এখানে আসেন। মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন একঝলক শুধু দেখার জন্য। বড় কালী ঠাকুর আজ লোকমুখে হয়ে উঠেছেন বড়মা। কথায় আছে, ‘সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার।’ সাম্প্রতিক কালে ঠিক তেমনই প্রবাদ চালু হয়েছে নৈহাটির বড়মা-কে নিয়ে। বলা হচ্ছে, ‘সব কালীক্ষেত্র বার বার বড়কা একবার।
’ কথাটি যে একেবারেই অমুলক নয়, তা এখন বোঝা যাচ্ছে নৈহাটির বড়মা-কে কেন্দ্রে করে ভক্তদের উন্মাদনায়। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন মাকে পুজো দেওয়ার জন্য। মায়ের মাহাত্ম্য মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে। মায়ের কাছে কোন বিষয়ে মানত করলে মা তা পূরণ করে দেন। আর সেই থেকেই দ্রুততার সঙ্গে বড়মার প্রচার সর্বত্রই। একটা সময় নৈহাটির বারোয়ারি পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বড়মার কালী পুজো। তবে এই পুজো আগে এত জনপ্রিয় ছিল না। রাস্তার ধারে রক্ষাকালী মূর্তিতেই পুজো করতেন একদল যুবক। নৈহাটির পুরনো বারোয়ারী পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো। গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় ঋষি অরবিন্দ রোডে এই পুজো আয়োজন হতো।
ধীরে ধীরে প্রচার এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ভক্তদের জন্য স্থায়ী মন্দির নির্মিত হয়। মন্দিরে পুজোর আয়োজন হলেও বারোয়ারি পুজো বজায় রয়েছে। নৈহাটিতে বড়মায়ের একটি স্থায়ী মন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পুজো হলেও আগে যে জায়গায় রক্ষাকালী পুজো করা হতো কালীপুজোয়, সেখানেই প্রতিবছর মৃন্ময়ী রূপে প্রতিষ্ঠা করা হয় মা-কে। এই পুজো সার্বজনীন হলেও কারও কাছ থেকে কখনও চাঁদা বা দক্ষিণা নেওয়া হয় না। দেবীর গায়ের গয়না থেকে ভোগ, পুজোর সামগ্রী,পুজোর সমস্ত খরচ করে থাকেন সাধারণ ভক্তরা।
এই ভাবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে নৈহাটির বড়মা। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন একঝলক শুধু দেখার জন্য। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। সেই থেকেই চারিদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কাহিনি। বড়মা কেন নাম? অনেকের মনে আছে এই প্রশ্ন। নৈহাটির বড়মার নামকরণ হয়েছে এক বিশেষ কারণে। এই কালী মূর্তির আকারে ও উচ্চতায় বিরাট। প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা। এই কারণে এই দেবীকে বড়মা বলে ডাকেন সকলে।