নিজস্ব : গ্রাফিক্স চিত্র
Bangla Jago Desk : বাংলার মেধার বিশ্বজয়। গবেষণায় লক্ষ্যভেদ করলেন সোনারপুরের কোদালিয়ার অধ্যাপক সন্তু দে। মার্কিন মুলুকের অন্যতম সেরা স্ট্যানফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাই করা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলার এই কৃতী গবেষক। ম্যাথামেটিক্যাল ফিজিক্সে নতুন দিশা দেখিয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন আসানসোলের বিধানচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক সন্তু দে।
[ আরও পড়ুন : দেবীপক্ষের সূচনার আগেই দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রাজ্যে মহিলা চালিত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, উচ্ছ্বসিত মমতা ]
বাংলার মেধা বরাবরই বিশ্বমঞ্চের স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছে। আর ৫টা রাজ্যের থেকে এই বাংলার বিজ্ঞানীও গবেষকরা যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার তা তাঁরা প্রমাণ দিয়েছেন।তাই বিশ্ব-বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্রে বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদান কোনওদিনই অস্বীকার করার নয়।সেই বিজ্ঞানের জগতে আবারও এই বঙ্গের জয়জয়কার। প্রতি বছরই আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিজ্ঞান গবেষকদের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে। দেখা যাচ্ছে,বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের তালিকার প্রথম ২ শতংশ গবেষকদের মধ্যেই রয়েছে ৫,৩৫২ জন ভারতীয় বিজ্ঞানীর নাম। ২০২৩-এ এই ২ শতাংশর মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ৪,৬৩৫ জন। গত বছরের তুলনায় এবার বিজ্ঞানীদের সাফল্যের নজির মিলেছে।আর গবেষণার জগতে বাংলার নাম উজ্বল করেছেন রাজ্যের গবেষক সন্তু দে।কোদালিয়ায় বাস করলেও তিনি পড়ান আসানসোলের বিধানচন্দ্র কলেজে। ম্যাথামেটিক্যাল ফিজিক্সে নয়া দিশা দেখিয়েছেন এই ভিন্ন ভাবনার গবেষক।
[ আরও পড়ুন : Today Horoscope: আজ মহালয়া, বছরের শেষ সূর্যগ্রহণে সুনাম অর্জন এই ৫ রাশির ]
দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন মেধাবী সন্তু। বরাবরই মেধাবী ছাত্র তিনি। স্কুলে বরাবর প্রথম হয়েছেন। স্কুল পেরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। আইআইটির ডাক উপেক্ষা করে যাদবপুর থেকেই পিএইচডি করেছেন। সন্তুর সাফল্যে খুশি বাবা, মা, দাদা থেকে শুরু করে ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষক ও।
এলাকবাসীর মতোই এই অধ্যাপকের পড়ুয়াদেরও আশা আন্তর্জাতিক স্তরে আরও সাফল্য পাবে সন্তু। আর বঙ্গের এই কৃতীর বিশ্বজয় দেখে নতুন প্রজন্ম গবেষণায় বড় কিছু করার প্রেরণা যে পাচ্ছে তা বলাই যায়।