চিত্র: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: রানাঘাট পুলিশ জেলার আবারো বড়সড় পদক্ষেপ। একাধিক ঘি কারখানায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। যত দিন যাচ্ছে ততই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের সংখ্যা বাড়ছে, যার কারণে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আমজনতা। এবার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিশেষ খাদ্যদ্রব্য ঘি কিভাবে ব্যবসায়ীরা বানাচ্ছেন তার বিশেষ পর্যবেক্ষন শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
বুধবার দুপুরে নদিয়ার ফুলিয়ায় বেশ কয়েকটি ঘি ব্যবসায়ীদের বাড়িতে হানা দেন আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর প্রত্যেকটি কারখানায় গিয়ে খতিয়ে দেখেন কিভাবে ঘি তৈরি হচ্ছে। সংগ্রহ করেন বেশ কিছু নমুনা, খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা সেগুলি সংরক্ষণ করেন। এ প্রসঙ্গে ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ঘি ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে ঘি তৈরি কিভাবে হচ্ছে তার নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি ভেজাল সামনে উঠে আসে তাহলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। কারণ খোলা বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তাই নিয়ে জেলা পুলিশের তৎপরতায় এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে যে কটি ঘি ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেওয়া হয় সেখানকার প্রত্যেকটি কারখানার কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা, এবং কিভাবে ঘি তৈরি হচ্ছে, কি কি উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে সবটাই খতিয়ে দেখে জানার চেষ্টা করেন তারা।
উল্লেখ্য এর আগেও নদিয়ার ফুলিয়ায় একাধিক ঘি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভেজাল ঘি তৈরীর অভিযোগে হানা দেয় রানাঘাট জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। সেখানে অভিযান চালিয়ে এখনো পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কয়েক হাজার লিটার ভেজাল ঘি, সঙ্গে ঘি তৈরির সরঞ্জামও। এছাড়াও পুলিশের জালে গ্রেফতার হয় বেশ কয়েকটি ঘি ব্যবসায়ী।
তবে কি নদিয়ার ফুলিয়ায় ঘি ব্যবসায়ীদের আরো একবার সচেতন করার জন্যই এই পদক্ষেপ? এখন দেখার জেলা পুলিশের এই অভিযানের মধ্যে দিয়ে কতটা সচেতন হয় ঘি ব্যবসায়ীরা।