Bangla Jago Desk: হাওড়ার সাঁকরাইলের কাঠসিড়িপাড়ায় পুকুর বুজিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে পরিবেশ আদালত সেই পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ মেনে প্রশাসন পুকুর পুণরুদ্ধারে এগিয়ে এসেছে।পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন বাড়িয়েছে নজরদারি।
পুকুর বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।প্রশাসনের নজরদারি সত্ত্বেও দুষ্ট চক্র,হাওড়ার সাঁকরাইলের কাঠসিড়িপাড়ায় পুকুর ভরাটের কাজ করে বলে অভিযোগ। যাঁরা কয়েক পুরুষ ধরে এই এলাকায় বসবাস করেন তাঁরা বলেন,পুকুর চুরি হয়ে যাওয়ায় স্নান থেকে দৈনন্দিন সব কাজ লাটে ওঠে। কারণ এই পুকুরেই সংসারের নানা কাজ করেন স্থানীয়রা। স্নান করা, বাসন মাজার জন্য এই পুকুরের জলই ব্যবহার করে এসেছেন তাঁরা। এলাকায় অন্য কোন জলের ব্যবস্থা না থাকায় পুকুরটির জলই সকলে ব্যবহার করেন। প্রশাসনের চোখে ধুলে দিয়ে দেওয়াল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হয়। তাতে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করে।
অভিযোগ পেয়ে পরিবেশ আদালত, পুকুর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়।সেইমতো প্রশাসন,চুরি হয়ে যাওয়া পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।পুলিশের উপস্থিতিতে প্রশাসন এই পুকুরের রূপ বদলের কাজে নেমেছে। পুকুরের মালিক মহম্মদ মৈনুদ্দিন আনসারি জানান, আমি স্কুলের শিক্ষক, আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়েছি, প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। পরিবশকর্মীরা প্রশাসনের এই সজাগ ভূমিকার দরাজ প্রশংসা করছে।তাঁরা বলছেন,বাস্তুতন্ত্র থেকে সমাজের প্রয়োজন,সবের জন্যই পুকুর বাঁচিয়ে রাখা বড় প্রয়াজন। পুকুর বাঁচানোর এই লড়াই সব মহলের কাছে সামাজিক দায়বদ্ধতার বাঁধনকে শক্ত করেছে।আশা করা হচ্ছে,আগামীদিনে,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে এই ধরণের ঝোঁক কমবে।