Bangla Jago Desk: দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলির সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায়দিন বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। যার জেরে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ্ররা। তাদের মতে, বৃষ্টি হলে বিভিন্ন জায়গায় জল জমবে এবং সেই জমা জলে ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশার বংশবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বর্ষা আসার আগেই কালনা ও কাটোয়া মহাকুমা জুড়ে পৌরসভা এলাকায় ও পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়ে যাওয়ায় শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগও ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: Haryana Assembly Election 2024: “এখন আমি কী করব”? টিকিট না পেয়ে কেঁদে ভাসালেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক]
জেলায় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি ও সে কাজ পঞ্চায়েত, পুরসভা, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর যৌথ ভাবে করছে জেলা জুড়ে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত জায়গায় জমা জল রয়েছে তা সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে।”
কেতুগ্রামের BMOH A সিংহ বলেন মশা বংশবিস্তার করে আবদ্ধ জলে তাই ঘরের ভেতরে, বারান্দায়, ছাদে, এমনকি ভবনের আশপাশের কোনো জায়গায় জল জমে থাকতে দেবেন না। ডেঙ্গুজ্বরের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। কোনো লক্ষণ পেলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করাতে হবে সময়মতো। চিকিত্সা ও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হতে পারে।
দিনে বা রাতে যখনই শোবেন, মশারি ব্যবহার করুন। মশারি ভালোভাবে গুঁজে দিতেও ভুলবেন না। মশারিতে কোনো ছিদ্র আছে কি-না খেয়াল রাখুন পোশাকে মশানিরোধী পদার্থ (মসকিউটো রিপেলান্ট) ব্যবহার করতে পারেন। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য রিপেলান্ট না। ঘরের জানালা, বাথরুমের জানালা ও বারান্দার দরজায় ছোট ছিদ্রের নেট লাগিয়ে নিতে পারেন। মশা তাড়াতে ধূপ ব্যবহার করুন, কীটনাশক বা কয়েল ব্যবহার না করে। মশা জন্মায় এমন টব বা পাত্র যাতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
[আরও পড়ুন: জার্মানিতে আয়রন ম্যানের সম্মান লাভ, বিশ্বজয় জঙ্গলমহলের আদিবাসী যুবকের ]
এমনকি বাড়িতে প্লাস্টিক কোনো কাপ বা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে পানি জমে থাকলে বিপদ হতে পারে। নির্মাণাধীন ভবনে পানি জমা থাকছে কি-না, খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে এলাকার সবাই মিলে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বা জমির মালিক ও নির্মাণশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলুন। বাড়িতে জলজ উদ্ভিদ থাকলেও প্রতি ৭২ ঘণ্টায় পাত্রের পানি বদলে ফেলুন।