গ্রাফিক্স: নিজস্ব
বিশ্বদীপ নন্দী, বালুরঘাট: পশ্চিমবঙ্গ এক অনন্য সংস্কৃতির রাজ্য। এই রাজ্যের দিকে দিকে বিভিন্ন লোকসাহিত্য ও ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও পুজো-অর্চনা। যাদের ঘিরে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্য। সেরকমই এক পুজো বালুরঘাট চকভবানী শ্মশান কালী বাড়ির ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো (Kali Worship)। যা এবছর ১৭৪ বছর পূর্ণ করল। প্রাচীন এই মন্দিরের ইতিহাসও কম চিত্তাকর্ষক নয়।
আরও পড়ুনঃ IPGMER Recruitment: পিজি হাসপাতালে (IPGMER) নার্স ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ, সরাসরি ইন্টারভিউ
জানা যায়, ১৮৫৭ সালে এই পুজোর সূচনা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একসময় আত্রাই নদী দিয়ে বজ্রা চলাচল করত। দিনাজপুরের জমিদাররা ব্যবসার কাজে এই নদীপথ ব্যবহার করতেন। উত্তর দিকের এক বজ্রার নাবিক নাকি নদীতে ভাসতে থাকা এক প্রস্তর শিলাকে মাতৃরূপে দর্শন করেন। সেই থেকেই শুরু হয় শ্মশান কালীর এই পুজো। (Kali Worship)
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যার পাশাপাশি প্রতি মাসের অমাবস্যাতেও মায়ের বিশেষ পুজো ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এদিন সম্পূর্ণ বীরাচারী মতে ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে হয় শ্মশান কালীর পুজো। মায়ের বরণ হয় সন্ধ্যায়, তার পরেই শুরু হয় মূল পুজো। ঐতিহ্য মেনে পাঁঠা বলির পাশাপাশি শোল ও বোয়াল মাছ এবং পাঁঠার মাংস নিবেদন করা হয় দেবীর উদ্দেশ্যে। পরের দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে মায়ের অন্নভোগ বিতরণ। এছাড়া শিবরাত্রিতে শিবপুজো, চৈত্র সংক্রান্তিতে কালীপুজো, গাজন এবং বাউল কীর্তনেরও আয়োজন করা হয়। (Kali Worship)
পুজোর আয়োজন করে চকভবানী শ্মশান কালী বাড়ি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সংস্থার সদস্যদের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুজোর জোরকদমে প্রস্তুতি। পুজো কমিটির সদস্য সুবোধ দাস জানান, “এই মায়ের কাছে বহু ভক্ত মনস্কামনা করে ফল পেয়েছেন। এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও মায়ের প্রতি সমান বিশ্বাস রাখেন। তাঁরাও আর্থিকভাবে এই পুজোয় সহযোগিতা করেন।” (Kali Worship)