প্রতীকী চিত্র
Bangla Jago Desk: বিশ্বভারতীর এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে। মায়ের অভিযোগ, চাপ সৃষ্টির জন্য তাঁর মেয়ের অকাল মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনায় শোকাহত উত্তরপ্রদেশ থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা পড়ুয়ার পরিবার। বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের ডিজাইনার বিভাগের তৃতীয় বছরের ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে পুলিশ তদন্ত করছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কেন সিসিটিভি? কেন কর্ত়ৃপক্ষ নজরদারি বাড়ায়নি ক্যাম্পাসে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় পড়তে আসা এক ছাত্রীর অকালমৃত্যু ঘিরে তোলপাড় পড়েছে বিশ্বভারতীতে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে তখন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, শিল্প সদনের ডিজাইনার বিভাগের তৃতীয় বছরের ছাত্রী থাকতেন ছাত্রী নিবাসে। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ছাত্রী নিবাস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতাল পিয়ারসন মেমোরিয়ালে ভর্তি করানো হয়। ছাত্রীর অবস্থার অবনতি দেখে স্থানান্তরিত করা হয় বোলপুর সিয়ান সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু তারপর অবস্থার চরম অবনতি হয়। বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিশ্বভারতী শিল্পসদনের ছাত্রীর কিভাবে মৃত্যু হল? কেন ক্যাম্পাসে সিসিটিভি নেই প্রশ্নই এখন বড় করে উঠছে? পড়ুয়ার পরিবার মনে করছে, তাঁদের মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেই কারণেই এই পরিণতি হয়েছে।
ভিন রাজ্য থেকে পড়তে আসা বিশ্বভারতী ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু! কারণ কি ? ছাত্রী নিবাসে থাকা ছাত্রীর হাসপাতালের রহস্য মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকি হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। উপাচার্য, বিদ্যুত চক্রবর্তীর আমলে এই অনিয়মের অভিযোগ বেশি ওঠে। তারপর প্রশাসনিক ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে।
বিশ্বভারতীর নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন বিনয়কুমার সোরেন। ২০২৩ সালের 8 নভেম্বর স্থায়ী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। তার পর দীর্ঘ সময় পরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এরমাঝে ছাত্রীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু রাজ্য ছাড়িয়ে ভিনরা্জ্যের মানুষের মনেও প্রশসানিক নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন যে জোরদার করছে তা বলাই যায়।