ad
ad

Breaking News

Siuri

সিউড়িবাসীর বহুদিনের স্বপ্নপূরণ! দীঘা রুটে সরকারি বাস চালু করল পরিবহন দফতর

শুক্রবার, সরকারিভাবে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:ভসিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল এবং সিউড়ির পুর কাউন্সিলর ও তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব।

A long-standing dream of Siuri residents comes true! The Transport Department has launched government buses on the Digha route

নিজস্ব চিত্র

Bangla Jago Desk: দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণ হলো। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহন দফতরের উদ্যোগে সিউড়ি থেকে দীঘা রুটে একটি নতুন সরকারি বাস পরিষেবা চালু করা হলো। এই নতুন পরিষেবা শুধু পর্যটনের দিক থেকে নয়, ধর্মীয় আবেগ পূরণেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দীঘায় সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে একটি জগন্নাথ মন্দির। বহু জেলা বাসিন্দার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও পর্যাপ্ত যাতায়াতের অভাবে তাঁরা মন্দির দর্শনে যেতে পারছিলেন না। সেই কারণেই বহু সাধারণ মানুষ সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর কাছে আবেদন জানিয়ে আসছিলেন যাতে সরকারিভাবে দীঘাগামী একটি বাস পরিষেবা চালু হয়।

শুক্রবার, সরকারিভাবে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:ভসিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল এবং সিউড়ির পুর কাউন্সিলর ও তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব।

এই বাস পরিষেবা চালুর মাধ্যমে শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিদর্শন নয়, সাধারণ মানুষের সস্তায় দীঘা ভ্রমণের পথও সুগম হলো। দীঘা যেহেতু বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রতট ও পর্যটন কেন্দ্র, তাই এই বাস রুট পর্যটন উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

নতুন বাস পরিষেবা পেয়ে স্বভাবতই খুশি সিউড়িবাসী। অনেকে বলছেন, “দীঘা যাওয়ার জন্য এতদিন ট্রেন বা প্রাইভেট গাড়ির উপরে নির্ভর করতে হতো, যা সবসময় সবার সাধ্যের মধ্যে ছিল না। এখন সরকারি বাস থাকায় কম খরচে, নিরাপদ যাত্রার সুযোগ পাবো।”

এই উদ্যোগকে অনেকে দেখছেন রাজ্য সরকারের জনমুখী ও সংবেদনশীল প্রশাসনের প্রতিফলন হিসেবে। ধর্মীয় দর্শন, পর্যটন ও পরিবহণ—এই তিন দিককে একসূত্রে বেঁধে মানুষের বাস্তব সমস্যার সমাধান করে দেওয়াই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এখন দেখার, ভবিষ্যতে আরও কতগুলো রুটে এ ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।