Bangla Jago desk: উমার বিদায়বেলায় দুই বাংলার মানুষ মিলন উৎসব মেতে ওঠেন সীমান্তে। ঐতিহ্য মেনে ইছামতীতে ঘটা করে হয় বিসর্জন। দশমীতে বাঙালির সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান জমে ওঠে। বহু পর্যটক ভিড় করেন ইছামতীর পারে। দেবীপক্ষের আগে সেই উপলক্ষে টাকিতে হয়ে গেল বিএসএফ-বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিং। মালপোয়া, ফুলের তোড়া আর আলিঙ্গনে সৌভাতৃত্বের বাঁধন শক্ত করলেন দুপারের সীমান্ত রক্ষীরা।
[আরও পড়ুনঃ ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার, পাকা সেতু গড়তে চায় প্রশাসন
কাঁটাতার,সীমান্তের বিভাজন,কোনও কিছুই বাধা হয় না বাঙালির দুর্গোৎসবে। বিসর্জন উপলক্ষে দুপারের মানুষ মিলিত হন ইছামতী নদীতে। ঐতিহ্যের উৎসব ভারত-বাংলাদেশের মানুষকে এক ফ্রেমে বেঁধে রেখেছে। এবারও মিলন উৎসবে মিলিত হতে তৈরি হচ্ছে উৎসবের উদ্যোক্তারা । কটা বছর বঙ্গের এই সাংস্কৃতিক উদযাপন ব্যাহত হলেও আবার নতুন উদ্যমে দুর্গোৎসবের বিসর্জন পর্বের আয়োজন করা হচ্ছে। উমার বিদায়বেলায় দুই বাংলা কিভাবে একযোগে এই মিলিত হবে তা কার্যকর করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিল দুদেশের সীমান্ত রক্ষীরা। বসিরহাটের টাকিতে দুই বাংলার বিসর্জন পর্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়ে গেল মঙ্গলবার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও হাসনাবাদ মোঃ ওমর আলী মোল্লা সহ জনপ্রতিনিধিরা।ওপার বাংলা থেকে এপারে আসেন ৭আধিকারিক।
চলতি মাসের ১৩ই অক্টোবর ইছামতি নদীতে হবে দেবীর বিসর্জন। রীতি মেনে বাংলাদেশের প্রতিমা নিয়ে আসা হবে,যাবে এপারের প্রতিমাও।চিরাচরিত প্রথা মেনে পর্যটকবোঝাই নৌকা নামবে। আর সবকিছুর মাঝে নজর রয়েছে নিরাপত্তায়। লক্ষ্য রাখা হয়, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে। নিরাপত্তার স্বার্থে নদীর মাঝ বরাবর রশি লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সবকিছু। সম্প্রতি বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তের সুরক্ষা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। ড্রোন, বাইনোকুলার ও সিসিটিভি ক্যামেরার মধ্য দিয়ে সীমান্ত সুরক্ষা নজর রাখে বিএসএফের সদস্যরা। কোনরকম ভাবে নিয়ম এর ব্যতিক্রম যাতে না ঘটে তার সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। টাকির ইছামতি নদীর বিসর্জন দেখতে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকরা পূজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই টাকির হোটেলগুলোতে ভিড় জমান।