নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: পহেলগাঁও যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতার শেষ নেই। অনেকেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। পাহাড়ি পথে যখন তখন ধস নামায় জীবন বিপন্ন হয়। কিন্তু এবার উল্টো ঘটনা দেখা গেল,পহেলগাঁও-য়ে। ধসের জন্য জীবন বেঁচে গেল শান্তিপুরের লক্ষ্মণ কুন্ডু,হাসি কুণ্ডু,তাপস দাস ও সবিতা দাসের। চার দম্পতি বলছেন, তাঁরা ভূস্বর্গের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেননি ধসের কারণে।
এখন সেই ধসই বাঁচিয়ে দিল তাঁদের জীবন। মঙ্গলবার ভয়াবহ জঙ্গি হামলার শিকার হন দেশের ১৮জন পর্যটক। সন্ত্রাসের বলি হন তাঁরা। বাংলার ৩ পর্যটকও রয়েছেন সেই তালিকায়।কিন্তু নদিয়ার শান্তিপুরের এই চার পর্যটক কোনক্রমে বেঁচে গেছেন। বেঁচে গিয়ে পরিবার বলছে, বরাত জোরে জীবন ফিরেছে।
কখন যে কী হত, তা কে বলতে পারে? মৃত্যুমুখ থেকে কিভাবে তাঁরা ফেরেন সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বাংলা জাগোর প্রতিনিধির সামনে তুলে ধরেছে তাঁদের পরিবার। স্বস্তি পেয়েছেন বড়সড় কোনও ছন্দপতন ঘটেনি বলে।
[আরও পড়ুন: সতর্ক কলকাতা গোয়েন্দারা! ৩০ জন পাকিস্তানির ওপর তীক্ষ্ণ নজর]
প্রথমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাঁদের। পরে সিম কিনে যোগাযোগ গড়ে তোলে। লক্ষ্মণ কুণ্ডু,হাসি কুণ্ডু খবর দেন তাঁরা সুস্থ রয়েছেন, বিপদ কাটার কথা শুনে পরিবারের সদস্যরা বুকে বল ফিরে পায়। ভয়ংকর ঘটনার কথায় তুলে ধরেন তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, যেখানে কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে সারা ভারতবর্ষের পর্যটকরা উপস্থিত হয় সেখানে নিরাপত্তাহীনতাই এই ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।। সরকারের উচিত আরো সচেতন হওয়া।
পর্যটকদের পরিবার জানিয়েছে,সন্ত্রাস যেন বন্ধ হয়।দেশের অখণ্ড মানচিত্রে জায়গা পাওয়া জম্মু-কাশ্মীরকে সুরক্ষিত রাখার আবেদনও করছেন তাঁরা। সীমান্তপারের সন্ত্রাস দমনে কেন্দ্র আরও সজাগ হোক,চাইছেন বাংলার পর্যটকদের পরিবারের লোকেরাও।