Bengla Jago Desk: শঙ্খ বাজিয়ে মাকে ঘরে এনেছি সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি । ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীকে এভাবেই আহ্বান জানানো হয়।যাতে ধনদেবী তাঁদের ঘর আলো করে বিরাজ করেন,কারণ তাতেই তো সম্পদ,যশের সৌভাগ্য ফেরে।. কথিত আছে,কোজাগরী লক্ষ্ণীর আলাদা মাহাত্ম্য আছে। আসলে কোজাগরী শব্দের অর্থ হল, ‘কে জেগে আছে’। হিন্দু পুরাণ মতে আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী ঘরে ঘরে এসে খোঁজ নিয়ে যান যে কে জেগে আছে। এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে দেবীর আরাধনা করেন সেই ঘরেই প্রবেশ করেন মা লক্ষ্মী।তাই ঘটা করে কেউ ঘট বা প্রতিমা এনে পুজো করছেন।আর এই লক্ষ্মীপুজোয় ১৮ভূজা দেবী দুর্গার পুজোপাঠ হয়। গত ২০বছর ধরে এই অষ্টভূজা দুর্গার আরাধনা করা হচ্ছে। সকালে যাকে মহালক্ষ্মী রপে পুজো করেন তাকেই রাতে কোজাগরি রূপে পুটোপাঠ করেন। মালদা্ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বামনগোলার গাংগুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে পুজিত হয়ে আসছেন এই মহা লক্ষ্মী। স্বামী গ্রীজাআত্মানন্দ মহারাজ ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা করেন।২০০২ সাল থেকে তিনি ১৮ টি হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে দেবী এখানে, সকালে এক রূপে, ও রাতে একরূপে পুজিত হয়ে আসছে সেই থেকেই। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে এই আশ্রম।
আজ রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হবে পূর্ণিমার তিথিতে, দেবী সকালে মহালক্ষী রূপে পূজিত হয়েছে এবং রাতে কোজাগরী রূপে তিনি পূজিত হবেন। এই আঠারো হাতের লক্ষ্মী পুজো গোটা পশ্চিমবাংলার মধ্যে একমাত্র মালদহের বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া আশ্রমে হয়ে আসছে।মহা লক্ষ্মীর পূজার সময় চণ্ডীপাঠ করা হয় এই পুজোর ঘট স্থাপনের জন্য পাকুর,অশ্বত্থ,আম,বট ও অশোক গাছের পল্লব দেওয়া হয়। এই পুজোয় নৈবেদ্য ছাড়াও দেওয়া হয় অন্নভোগ যজ্ঞের জন্য দেওয়া হয় ১০৮ টি বেলপাতা এই পুজো শুরু করার উদ্দেশ্য অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভশক্তির প্রতিষ্ঠাতা হবেন ১৮হাতের মহালক্ষ্মী মালদহ জেলার বামনগোলা ব্লকের গাঙ্গুরিয়া শ্রী শ্রী সারদা তীর্থম আশ্রমে পূজিতা হছে ১৮হাতের মহালক্ষ্মী ঠাকুর। এদিন সকালে ১৬ রকম উপাচার দিয়ে মায়ের পুজো দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।সেই উপাচারে বস্ত্র,আলতা,কাজল,চিরুনি,ধুপচি, সহ নানা কিছু দেওয়া হয়।এছাড়াও ওই দিন মায়ের রাজকীয় ভোগে অন্ন,৫রকম ভাজা,৩তিন রকম তরকারি, ডাল,বিভিন্ন রকম মিষ্টি নিবেদন করা হয়।এদিন মহালক্ষ্মীর পুজোয় এক হাজার আটটি বেলপাতা দিয়ে বিরাট যজ্ঞ করা হয়।
মায়ের আরতির অনুষ্ঠানও নিষ্ঠার সহিত করা হয়।পূজিতা মহালক্ষ্মীর এক হাতে থাকে ভগবান নারায়ণের সুদর্শন চক্র, বাকি সতেরোটি হাতে ত্রিশূল,গদা,তীর, ধনুক,কুঠার,বজ্র,জপের মালা,শঙ্খ,পদ্ম সহ অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে সুজজ্জিত থাকে।শুধু তাই নয়,একই আশ্রমে রাতে চিত্র পটের কোজাগরী রূপে মায়ের পুজো দেওয়া হয়।দেবী মাকে লুচি,সুজি,মিষ্টি নিবেদন করা হয়।পুজোতে গ্রামের মহিলারা উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।তাঁদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।মায়ের এই মহালক্ষ্মীর শক্তির রূপের দর্শন করতে অগনিত ভক্তরা ছুটে আসেন।স্বামী আত্মপ্রাণানন্দ মহারাজ বলেন,২০০০ সাল থেকে মায়ের পুজো শুরু হয়েছে।এবার ২৩বছরে পুজো পড়ল।নিয়ম একই থাকছে।আজ,সকালে ১৮হাতের মহালক্ষ্মীর পুজোর আয়োজন করা হয়।সেখানে সব নিয়ম ও নিষ্ঠা সহকারে মায়ের সেবা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। রাতের পূর্ণিমাতে কোজাগরী রূপে মায়ের পুজো দেওয়া হবে।সেই তোড়জোড় করা হচ্ছে।সেই রূপেই এখানে মায়ের পুজো করা হচ্ছে।মায়ের পুজোয় ১৬ উপাচার দেওয়া নিয়ম রয়েছে।যা পালন করা হয়।রাতে কোজাগরী রূপে ১০ উপাচার দিয়ে চিত্র পটে মায়ের আরাধনা করা হয়।
Free Access