ad
ad

Breaking News

বাংলাদেশ

ইউনুসের ৫ মামলা বাতিলের রায়ে কোন আইনি দুর্বলতা পায়নি আপিল বিভাগ

হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কোনও আইনি দুর্বলতা এবং আইনিভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি

The Appellate Division did not find any legal weakness in the verdict of canceling 5 cases of Yunus

চিত্র - সংগৃহীত

Bangla Jago Desk : নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের নামে শ্রম আইনে করা পাঁচ মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক মহম্মদ ইউনস বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। মামলার ঘটনা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কোনও আইনি দুর্বলতা এবং আইনিভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে অনুসারে মেরিট (যোগ্যতা) বর্জিত হিসাবে লিভ টু আপিলগুলি খারিজ করা হল।

[ আরও পড়ুনঃফের বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, অভিযান চালিয়ে ৪ মাওবাদী ধৃত, উদ্ধার অস্ত্র]

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলগুলি খারিজ করে আপিল বিভাগ গত ৮ ডিসেম্বর আদেশ দেয়। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ ওই আদেশ দেয়। পূর্ণাঙ্গ আদেশ গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর মতে, অধ্যাপক ইউনুসের নামে যখন শ্রম আদালতে পৃথক পাঁচটি মামলা হয়, তখন তিনি গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়ন ঘিরে কর্মীর চাকরিচ্যুতির অভিযোগ তুলে ২০১৯ সালে মামলাগুলি করা হয়। মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন মহম্মদ ইউনুস।

মামলার কার্যক্রম বাতিলের পক্ষে আবেদনকারীপক্ষের যুক্তি ছিল, প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের আবেদনপত্র ইতিমধ্যে শ্রম অধিদফতর থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সুতরাং এ কথা বলার কোনও অবকাশ নেই যে, প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ছিল, চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছিল। এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে শ্রম অধিদপ্তরকে মামলা করতে হয়। তাঁরা শ্রম অধিদফতরের কাছে নালিশ করেছিলেন বটে, কিন্তু শ্রম অধিদফতর এ ধরনের কোনও মামলা করেনি।

[ আরও পড়ুনঃবিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন বরখা! কি বললেন অভিনেত্রী?] 

মামলা বাতিল চেয়ে করা পৃথক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে রুল-সহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে মামলাগুলির কার্যক্রম বাতিল ঘোষিত হয়। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল করে। শুনানি নিয়ে লিভ টু আপিলগুলি খারিজ করে গত ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং অধ্যাপক ইউনুসের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানিতে ছিলেন। এ বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়েছে। ফলে অধ্যাপক ইউনুস-সহ গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনের তৎকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি থাকল না।