Bangla Jago Desk : এখনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। অর্থনীততে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য শেখ হাসিনা সরকার চেষ্টা জারি রেখেছে। কিন্তু প্রত্যাশামতো কর সংগ্রহ না হওয়ায় প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতির হাল ফিরছে না। তাই আগামীবছর অর্থনীতির সুস্থিতি ফেরাতে বেশকিছু বিষয়ের মতো কর সংগ্রহে শেখ হাসিনা সরকারের নজর দেওয়া দরকার বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। এবিষয়ে আর্থিক পর্যালোচনায় বারবার উঠে আসছে কর সমস্যার কথা। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যুরোর দেওয়া তথ্যে আরও জানা গেছে,মুদ্রাস্ফীতি সেদেশের জ্বলন্ত সমস্যা।
গত মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৯.৮১শতাংশ।গত ১বছরে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি ৯শতাংশের ওপর।শুধু খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ৯. ৮১শতাংশ,খাদ্য বাদে অন্যান্য দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ৯.৬৪শতাংশের কাছে।এভাবে অর্থনীতির এই সমস্যা বাড়ায় বাংলাদেশের মানুষের জীবনেও তার গভীর প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে এভাবে চললে জীবনযাত্রার মাণে তার ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। কেন সমাজে মুদ্রাস্ফীতির জন্য সমস্যা হচ্ছে ? তার ব্যাখা দিতে গিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন,সেদেশের মানুষের অর্থনীতির মেরুদন্ড শক্ত না হওয়ায় বাল্য বিবাহের মতো প্রবণতা বাড়ছে।সিপিডি নামে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন জানিয়েছেন,মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়লেও মানুষের বেতন বাড়ছে না।পরিবর্তে দারিদ্রতা বাড়ছে দারুণভাবে।
গত ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। গত বছর একই সময়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার।সুগঠিত বিকাশের রাস্তা খুঁজে না পাওয়ায় হাসিনা সরকারও ঋণের দিকে ঝুঁকছে বলে অর্থনীতির পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তাই দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি সামাজিক স্তরে সম্পদের বন্টনের ওপর তাঁরা জোর দিচ্ছেন।সেদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পর্যাপ্ত সৃষ্টি করতে না পারলে মধ্যপ্রাচ্যে অভিবাসী হয়ে জীবন কাটানোর এই ঝোঁক যে রোখা যাবে না তা নিশ্চিত করে জানাচ্ছেন অর্থনীতির নীতিকাররাও।