চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : ঢাকার বংশালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনির বাসিন্দাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের কর্মীদের বিরুদ্ধে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় মিরনজিল্লা হরিজন কলোনির অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা ধারাল দা, চাপাটি ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা হরিজন পল্লীর ঘর-বাড়ি ,মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হামলা করে ভাঙচুর করে। এ সময় হরিজন কলোনির অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। এদের মধ্যে ৭ জন গুরতর আহত হয়ে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি।
[আরও পড়ুন : Bangladesh: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি ! এখনও মেলেনি নিখোঁজ জেলেদের খোঁজ]
বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এ ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন বলে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। মিরনজিল্লা কলোনির বাসিন্দারা বলছেন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার হাজী আউয়াল তার অনুসারী ও বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালিয়েছেন।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল ফোনও বন্ধ।
[আরও পড়ুন : Bangladesh: ভারত বিরোধিতার নামে যারা আন্দোলনের ইস্যু খুঁজছে তারা আবারও ভুল পথে যাচ্ছে ]
উল্লেখ্য, মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে সিটি করপোরেশনের প্রায় ৩ দশমিক ২৭ একর জমি আছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে আসছেন। কলোনির এক পাশে ২৭ শতাংশ জমিতে আধুনিক সবজি-বাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি। তাই সেখানকার কিছু বাড়ি ভেঙে দিতে হবে। আগের সবজি-বাজারটি ১৭ শতাংশ জমিতে ছিল। বাকি জমি থেকে খালি করতে গত ১০ ও ১১ জুন অভিযান চালাতে যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি। কিন্তু হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেদিন অভিযান চালানো যায়নি। উচ্ছেদ ঠেকাতে পরে আদালতে গেছেন হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। ১৩ জুন আদালত মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে থাকা হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ার ওপর ৩০ দিনের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন।