চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর জেলায় তৈরি হতে চলেছে এক বিশাল হাসপাতাল। এক হাজার শয্যার এই হাসপাতাল নির্মাণে অর্থ দেবে চিন। ইতিমধ্যেই জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গেছে। হাসপাতালের নাম রাখা হবে ‘চিন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল’।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, এই হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ-চিন বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। পাশাপাশি, দেশে একটি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার তৈরি করা হবে যেখানে থাকবে রোবোটিক ফিজিওথেরাপির সুযোগ। এর যন্ত্রপাতি ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা পাবেন জুলাই মাসের ‘গণঅভ্যুত্থানে’ আহত ব্যক্তিরা। পরে দেশের অন্যান্য নাগরিকদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে এখানে।
কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই হাসপাতাল শুধুমাত্র উপহার নয়, বরং চিনের একটি বড় কৌশলের অংশ। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বেজিং সফরে গিয়ে বলেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলি একেবারে স্থলবেষ্টিত, সাগরপথে যোগাযোগ নেই। বাংলাদেশই তাদের জন্য একমাত্র উপায়। এই বক্তব্য থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়তো ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশলে হাঁটছে। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে চিন।
শুধু হাসপাতাল নয়, এবার বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম কিনতেও আগ্রহ দেখিয়েছে চিন। তারা ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন আম কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। শিবগঞ্জের আমবাগান পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চিনা প্রতিনিধিরা। এর ফলে প্রথমবার চিনে রপ্তানি হতে পারে বাংলাদেশের আম।
এদিকে, ভারতের কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ইউনুসের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে মন্তব্যকে ঘিরে। মনে করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ভারত বিভাজনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। চিনও সেই উদ্দেশ্যে আগেই বহু চেষ্টা করেছে, যদিও সফল হয়নি। ভারতও চুপ নেই। তারা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক রপ্তানি পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন থেকে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে আর পণ্য পাঠাতে পারবে না বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে, রাজনৈতিক পালাবদলের বাংলাদেশে চিন এখন বিনিয়োগ, চিকিৎসা ও ব্যবসার মাধ্যমে নিজের প্রভাব বিস্তারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।