ad
ad

Breaking News

Bangladesh

Bangladesh: বাংলাদেশের সুন্দরবনে চলছে বিষ দিয়ে চিংড়ি শিকার! গড়ছে শুঁটকির ‘কারখানা’

সম্প্রতি মান্দারবাড়ি ও মার্কি এলাকার দুটি স্থানের এমন ঘটনার সন্ধান পেয়ে সে জায়গা উচ্ছেদ করেছে ওপার বাংলার বন দপ্তর

Bangladesh: Hunting shrimp with poison in the Sundarbans of Bangladesh! Dry 'factory' is being built

সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: বাংলাদেশের সুন্দরবন অরণ্যে গাছ কেটে ফাঁকা জায়গা তৈরি করে, সেখানে নানা প্রজাতির কাঠ গুছিয়ে মাচা বানানো হয়েছে। আর ওই মাচার ওপরেই চিংড়ি রেখে নিচে আরেকটি মাচা বানিয়ে তাতে কাঠ দিয়ে আগুন লাগিয়ে ম্যানগ্রোভের গহিন বনে চিংড়ি শুকিয়ে তৈরি করা হয় শুঁটকি। সম্প্রতি মান্দারবাড়ি ও মার্কি এলাকার দুটি স্থানের এমন ঘটনার সন্ধান পেয়ে সে জায়গা উচ্ছেদ করেছে ওপার বাংলার বন দপ্তর। বনদপরের দাবি, এসব স্থানে বিষ দিয়ে চিংড়ি ধরে সেগুলি শুঁটকি বানিয়ে বাজারজাত করে বিক্রি করা হত।

[ আরও পড়ুন: ICC Rankings : আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয়দের আধিপত্য, গিল-জয়সওয়ালদের পাশাপাশি তালিকায় রোহিত শর্মা   ]

জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ১-ই জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্য প্রাণী ও নদী-খালের মাছের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সুন্দরবনে সাধারণের প্রবেশ করার সমস্ত ধরনের অনুমতি দেওয়া বন্ধ রেখেছে বন দপ্তর। এসবের মধ্যে দিয়েও ওদেশের গহিন বনে এমন অপরাধমূলক কার্যক্রম বর্তমান রয়েছে। বাংলাদেশের বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জুলাই-এ বনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত নদীপথে চলাচলকারী জাহাজের কর্মীদের মাধ্যমে লোকালয়ে পাঠানো হচ্ছিল শুঁটকি। সেই সময় ওই জাহাজ থামিয়ে ১৫টি বস্তায় প্রায় ৩০০ কেজি শুঁটকিসহ দুই জেলেকে সুন্দরবনের শিবসা নদীতে থেকে গ্রেপ্তার করেন বনরক্ষীকর্মীরা। ওই দু’জনের মধ্যে একজন হলেন কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল সরদার এবং পল্লীমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা আবু বাক্কার সানা। মার্কি-মান্দারবাড়ি সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ওই দুই জেলের দেওয়া তথ্যে থেকে। বর্তমানে ওরা দুজন কারাগারে। সেই সাথে ওই শুঁটকিগুলি নষ্ট করা হয়েছে। নলিয়ান ফরেস্ট স্টেশনের কর্মী তানজিলুর রহমান জানান, প্রায় এক দিন লেগেছে ওই দুই জেলের মাধ্যমে শুঁটকি বানানোর জায়গা খুঁজে পেতে। জায়গাটি এতোই গহিনে অবস্থিত যে ওখানে প্রবেশ করাতে অনেক সমস্যার সমস্যা হতে পারে।

[ আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকলেও এবার তাঁত শিল্পীদের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার]

কয়রা সংলগ্ন এলাকার জেলে আবদুর রউফের বলেন, এ তিন মাস বন দপ্তরের অনুমতি না পাওয়ায় কেউ বনে প্রবেশ করতে পারে না, কিন্তু অবৈধভাবে কিছু লোক বনের মধ্যে প্রবেশ করে যতটা বিষ ছড়িয়ে চিংড়ি ধরছে ততটা বিষ সারা বছরেও বনে ছড়ায় না।  বিষ দিয়ে ধরা ওই চিংড়ি অসাধু জেলেরা লোকালয়ে আনতে পারে না, সেকারনে তারা বিশেষ কৌশলে চিংড়ি শুকিয়ে শুঁটকি তা শহরে পাঠান। ভারতের হেমনগর-কলকাতা বন্দর থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে বাংলাদেশের কয়রার সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার মধ্য দিয়ে নিজেদের কাজ শেষ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে যেসব ছোট জাহাজ, তারা সুন্দরবনের বজবজা, আড়ুয়া শিবসা, শাকবাড়িয়া, শিবসা প্রমুখ নদীর মধ্য দিয়ে খুলনায় যায় আর তাদের মাধ্যমে চিংড়ি-শুঁটকি সহ নানা বনসম্পদ পাচার করা হচ্ছে, এমনি অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এর কারণে জীববৈচিত্র্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই বনের পরিবেশেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ মামলায় মূল অপরাধীদের নামও উল্লেখ করবেন এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাছানুর রহমান।