ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: রাজধানী সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে ‘কিশোর গ্যাং’ গড়ে উঠেছে তা এখন গোটা দেশকে উদ্বেগে রেখেছে। সরকারি হোক বা বেসরকারি কোনো ভাবেই কিশোর অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বর্তমানে এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে কিশোর গ্যাং সহ অন্যান্য অপরাধকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এক কর্মসূচির আয়োজন করছে। এই কর্মসূচিতে তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষে ৭০% শিক্ষার্থীর উপস্থিতি আনা হবে।
এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সাংসদীয় কমিটি সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্ব দিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গোটা বাংলাদেশে কম করে ২০০টি কিশোর গ্যাং ছড়িয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ মাদক কারবার জমি দখল চাঁদাবাজি ছিনতাই কেবল টিভি ব্যবসা ইন্টারনেট সংযোগ মেয়েদের উত্তপ্ত যৌন সংক্রান্ত সহ বিষয়ে নানা অপরাধে জড়িত।
এই গ্যাং-কে নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পরিসরে এ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও এই বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা করা হয়েছে তবে তাতে কোনো আলো এখনো নজরে আসেনি। সংসদ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কিশোর গ্যাং-কে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে যে পদক্ষেপ গৃহীত করেছেন সে বিষয়ে জানিয়েছেন।
সরকার থেকে যে প্রতিবেদন সংসদে দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদেরকে তাদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত করার লক্ষ্যে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন নির্দেশনা পাঠিয়েছে। নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে বা ক্লাসে উপস্থিত থাকার ভিত্তিতে নম্বর দেয়া হবে, বেশ কয়েকদিন উপস্থিত না থাকলে জরিমানা নেওয়া হবে এমনি ছাড়পত্র প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ম করে পরিদর্শন প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়া, যেমন- চিত্রাঙ্কন, সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিতর্ক প্রমুখ বিষয়ের উপর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।
যে যে শিক্ষার্থী তাদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকবে না তাদের অভিভাবকদের জানানোর কথা বলা হয়েছে সাথে অভিভাবকদের নিয়ে এক সমাবেশে সাক্ষাৎ-এর আয়োজন এর কথাও বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বছরের শুরুতেই বিনামূল্যের পাঠ্য বই সহ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকর্ষন বাড়ানোর জন্য কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিয়ে ওই প্রতিবেদনে রয়েছে, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইন রক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বেশ জোরদার করা হয়েছে যাতে অপরাধী কিশোরদেরকে শনাক্ত করে তাদের আইনের দ্বারস্থ করা সম্ভব হয়।